অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি ও মানহীন পণ্য বিক্রির দায়ে চট্টগ্রামের পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার দিনভর চট্টগ্রাম নগরে এ অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানার বাহির সিগন্যাল এলাকায় বেক এন ফাস্ট নামের একটি বেকারির কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় দেখা যায় নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কারখানাটিতে মিষ্টি ও বিস্কুট তৈরি হচ্ছে। এসব পণ্য তৈরিতে মেয়াদোত্তীর্ণ গুঁড়া দুধ, কাস্টার্ড পাউডার ও ডালডা ব্যবহার করা হচ্ছিল।
এ অভিযোগে বেক এন ফাস্টের স্বত্বাধিকারী রফিউজ্জামান চৌধুরীকে চার লাখ টাকা জরিমানা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। তাঁকে সহযোগিতা করেন বিএসটিআই চট্টগ্রামের কর্মকর্তা ফারহানা জাহান এবং চান্দগাঁও থানার পুলিশ সদস্যরা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, কারখানাটিতে খুবই নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে মিষ্টি–বিস্কুট তৈরি করা হচ্ছিল। কর্মীদের কারও হাতে গ্লাভস, মাস্ক ও ক্যাপ ছিলো না। যেসব উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে তার মানও ভালো না। কারখানার মেঝে ও শৌচাগার দীর্ঘদিন পরিষ্কার করা হয়নি।
নগরের রেয়াজউদ্দীন বাজার এলাকায় সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম কার্যালয়। এ সময় নোংরা পরিবেশে মিষ্টি তৈরির অপরাধে প্যারাডাইজ সুইটসকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আনিছুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, রেয়াজউদ্দিন বাজারের কলি ইলেকট্রিক হাউসে সুপার স্টার কোম্পানির নাম দিয়ে নকল বাল্ব বিক্রি করা হচ্ছিল। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া নগরের ফিরিঙ্গিবাজার রোডের মানহাম ফার্মেসি এবং জয়া মেডিকেল হল নামের দুটি ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া যায়। এ দুটি দোকানকে সর্বমোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।