জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি তহবিল ঘোষণা করেছে নরওয়ে সরকার। ১০ বিলিয়ন নরওয়ে ক্রোনার অর্থের ওই তহবিল থেকে বাংলাদেশও বরাদ্দ পাবে। ক্লাইমেট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (সিআইএফ) নামের ওই তহবিলের মূল লক্ষ্য হবে, নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে অগ্রাধিকার দিয়ে বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা।
সোমবার ঢাকায় নরওয়েজিয়ান দূতাবাসে বাংলাদেশে জলবায়ু বিনিয়োগ তহবিলের (সিআইএফ) কথা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে নরফান্ড এবং দ্য নর্ডিক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশ (এনসিসিআই) একটি সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উত্তরণে সহায়তা করার জন্য নরওয়ের অঙ্গীকার তুলে ধরা হয়।
আগামী ২০২৭ সাল পর্যন্ত সিআইএফ ওই ১০ বিলিয়ন নরওয়েজিয়ান ক্রোনার বরাদ্দ দেবে। এর লক্ষ্য হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং স্বল্প কার্বন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করে কয়লাসহ অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানি শক্তি থেকে কার্বন নিঃসরণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে আনা। এই তহবিলের জন্য নির্বাচিত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র এবং উইন্ড ফর্মের মতো বড় পরিসরের প্রকল্পের পাশাপাশি ছাদে সোলার বসানোর মতো ছোট প্রকল্পের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনে তহবিল থেকে সহায়তা দেওয়া হবে। এরই সঙ্গে সিআইএফ জলবায়ু প্রভাবের সঙ্গে টেকসই প্রযুক্তি যেমন, শক্তি সঞ্চয় ও প্রেরণের পরিকাঠামোতে বিনিয়োগ করবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিশ্বের অন্যতম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মোট দেশজ উৎপাদনের ২ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাংলাদেশের শুধু জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বিনিয়োগের প্রয়োজনই নয়, জ্ঞান ও সক্ষমতা তৈরিতে প্রযুক্তিগত সহায়তাও প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে নরফান্ডের ক্লাইমেট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড একটি বড় সহায়ক হতে পারে। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিক্টার-সেভেন্ডসেন, এনসিসিআইর সভাপতি তাহরিন আমান বক্তব্য দেন।