পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম মর্তুজা শুক্কুর মিয়ার ঘর থেকে ভিজিএফের ১৭ টন চাল জব্দ করেছে প্রশাসন। এই চাল জেলেদের মধ্যে বিতরণের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। গতকাল শনিবার রাতে দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহিন অভিযান চালিয়ে এ চাল জব্দ করেছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুমকির ইউএনও মো. শাহিনসহ উপজেলা প্রশাসনে কয়েকজন কর্মকর্তা ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ গোলাম মর্তুজার বসতবাড়িতে অভিযান চালিয়ে এই চাল উদ্ধার করেন।
ইউএনও বলেন, ৫০ কেজি ওজনের মোট ৩৫০ বস্তা চাল ইউপি চেয়ারম্যানের ঘরে পাওয়া গেছে। সরকারি এই চাল খাদ্যগুদাম ব্যতীত কোনো স্থানে রাখার নিয়ম নেই। এটা অপরাধ।
ইউএনও মো. শাহিন আরও বলেন, এসব সরকারি চাল খাদ্যগুদামে মজুত থাকার কথা। এরপরও সাময়িক সংরক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপির গুদামে রাখতে হবে। এর বাইরে কারও ব্যক্তিগত বাড়িতে অথবা অন্য কোথাও এসব সরকারি চাল রাখার সুযোগ নেই। চাল উদ্ধারের সময় ইউপি চেয়ারম্যান বাড়িতে ছিলেন না। জাটকা আহরণে বিরত থাকা জেলে পরিবারকে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ভিজিএফের এই চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা জানান, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন দূরে হওয়ায় তাঁর এলাকার জেলেদের মধ্যে বিতরণ করার জন্য এ চাল তিনি বাড়িতে রেখেছেন। বিষয়টি জেলেদের জানিয়ে এখান থেকে চাল সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। কিন্তু তাঁর একটি প্রতিপক্ষ অপপ্রচার চালাচ্ছে।