বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণের জন্য মো. সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। অভিনন্দনবার্তায় দুই দেশের জনগণের কল্যাণে চীন-বাংলাদেশ কৌশলগত অংশীদারত্বকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন সি চিন পিং।
আজ সোমবার মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে সি চিন পিং অভিনন্দনবার্তাটি পাঠান। অভিনন্দনবার্তাটি ঢাকার চীনা দূতাবাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
আজ বেলা ১১টার দিকে বঙ্গভবনের ঐতিহাসিক দরবার হলে বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন মো. সাহাবুদ্দিন। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। মো. সাহাবুদ্দিন দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
ঢাকার চীনা দূতাবাস জানিয়েছে, চীন সরকার ও জনগণের পাশাপাশি সি চিন পিং তাঁর নিজের পক্ষ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
অভিনন্দনবার্তায় সি চিন পিং উল্লেখ করেছেন, চীন ও বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী। কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে দুই দেশ সব সময় একে অন্যকে সম্মান করেছে। পরস্পরকে সমান মর্যাদা দিয়েছে। দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে একে অপরকে সমর্থন দিয়েছে, যা বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান এবং বিভিন্ন দেশের জন্য সমান সুযোগের নজির স্থাপন করেছে।
সি চিন পিং বলেছেন, তিনি চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়নকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেন। দুই দেশের ঐতিহ্যগত বন্ধুত্বকে এগিয়ে নেওয়া, যৌথভাবে অঞ্চল ও পথের উদ্যোগ (বিআরআই) উচ্চমান বজায় রেখে নির্মাণের জন্য তিনি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। দুই দেশের জনগণের কল্যাণে চীন-বাংলাদেশ কৌশলগত অংশীদারত্বের বিকাশেও কাজ করতে প্রস্তুত তিনি।
চীনের প্রেসিডেন্ট তাঁর অভিনন্দনবার্তায় বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও বাংলাদেশের জনগণের সুখ কামনা করেছেন।