নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
ছবি: তথ্যমন্ত্রীর ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না। যথাসময়ে নির্বাচন হবে।

গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী মন্তব্য করেছেন, তফসিল ঘোষণা হলেই যে নির্বাচন হয়ে যাবে, এত সহজ নয়।

এ মন্তব্য প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আসলে বিএনপি তো চায় দেশের নির্বাচনীব্যবস্থাকে ভন্ডুল করতে। ২০১৪ সালে তারা সে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিল। এবার সে চেষ্টা করলে জনগণ কঠোর হাতে দমন করবে। বাংলাদেশে বেশির ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে। সেই মানুষগুলো বসে থাকবে না। আওয়ামী লীগও বসে থাকবে না।

হাছান মাহমুদ বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য দাঁড়ায়নি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি পাদানিতে বসে নির্বাচনের ট্রেনে চড়েছিল। তাঁরা আশা করছেন, এবার নির্বাচনের ট্রেনে বিএনপি ভালোভাবে বসবে। আর তারা না চড়লেও নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপির উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দলটির কোন নেতা কী বললেন, তাতে কিছু আসে-যায় না। নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করল কি না, সেটিই মুখ্য। যদি জনগণ ব্যাপকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তাহলেই তা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। তাদের (বিএনপি) বর্জন সত্ত্বেও যেভাবে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছে, আগামী নির্বাচনও যদি তারা বর্জন করে, জনগণ ব্যাপকভাবেই অংশগ্রহণ করবে। তবে তিনি আশা করছেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মন্তব্য করেছেন, তাঁর দল ক্ষমতায় এলে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করবে—এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন যে রোহিঙ্গারা এসেছিল, তাদেরই তো তারা পরিপূর্ণভাবে ফেরত পাঠাতে পারেনি। ১৯৭৬-৭৭ সালে রোহিঙ্গারা এসেছিল। সেই রোহিঙ্গারা এখনো আছে। ১৯৯১-৯২ সালে আবার রোহিঙ্গা এসেছিল। তখন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সেই রোহিঙ্গাদের অনেকে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এখন তারা (বিএনপি) রোহিঙ্গা ফেরত পাঠাতে সেমিনার করে বেড়াচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি চায় না যে রোহিঙ্গা সমস্যার কোনো সমাধান হোক। সরকার রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে চেষ্টা করছে। কূটনৈতিকভাবে চেষ্টা করছে। এ ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতিও আছে। এ সমস্যার সমাধান হবে।

গণমাধ্যম প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সব প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে দেশ আজকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশ, রাষ্ট্র, মানুষের এই সাফল্য কাগজের পাতায় আসতে হবে। পত্রিকায় অবশ্যই সমাজের চিত্র পরিস্ফুটিত হবে। ব্যর্থতার কথাও পত্রিকায় আসবে। সমালোচনা হবে। কিন্তু সাফল্যগাথাও প্রকাশ করতে হবে।

নতুনভাবে প্রকাশিত দৈনিক বাংলা পত্রিকার প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গুলশানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।