জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঘোষিত ১৫ আগস্টের ছুটি বাতিল

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঘোষিত ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিল করা হয়েছে। মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে এ বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপে ব্যাপক ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঘোষিত ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিলের বিষয়টি উপদেষ্টামণ্ডলীর বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর গত বৃহস্পতিবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টাসহ এ সরকারের সদস্যসংখ্যা ১৭। গতকালই উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্য উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে একদিন অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছিল।

সোমবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পৃথক বৈঠক হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের। বিএনপি-জামায়াত ছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চ, সিপিবি, বাসদ, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, এবি পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ও গণ অধিকার পরিষদের দুই অংশের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হবে কি না, সে বিষয়ে আলোচনা হয়।

আহতদের চিকিৎসা, শহীদ পরিবারকে সহায়তা

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের উদ্দেশ্যে গতকাল অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করে। এ ছাড়া আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও শহীদ পরিবারকে সহায়তা দেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, অর্থ বিভাগ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এ কমিটি হবে। সহায়তা দেওয়ার জন্য এ কমিটি একটি নীতিমালাও তৈরি করবে। একই সঙ্গে সাম্প্রতিক গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিচিতিসহ পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করবে।

গভর্নর নিয়োগে আদেশ সংশোধন হচ্ছে

বাংলাদেশ ব্যাংকে গভর্নর হিসেবে আর্থিক খাতে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে নিয়োগ করা হয়ে থাকে। এ পদে বয়সসীমা ৬৭ বছর নির্ধারিত থাকায় আর্থিক খাতে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে গভর্নর হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ এশিয়ার অনেক দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর পদে সর্বোচ্চ বয়সসীমার উল্লেখ নেই।

এ অবস্থায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সর্বোচ্চ বয়সসীমাসংক্রান্ত আদেশের বিধানটি বিলুপ্ত করে প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।