ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: কুমিল্লার সেই ইকবালের কারাদণ্ড

প্রথম আলো ফাইল ছবি

কুমিল্লা নগরের নানুয়ার দিঘির উত্তর পারে অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনার প্রধান আসামি ইকবালকে অপর একটি মামলায় কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।

২০২১ সালে গাজীপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ইকবালকে এ সাজা দেওয়া হয়েছে।

প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন।

সাইবার ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার মামলায় অভিযুক্ত কুমিল্লার ইকবাল আদালতে দোষ স্বীকার করেন। আদালত আসামি ইকবালকে ১ বছর ৪ মাস কারাদণ্ড দেন।

পিপি নজরুল ইসলাম আরও জানান, এ মামলার প্রধান আসামি রোকন মিয়াও আদালতে দোষ স্বীকার করেন। পরে গত বছরের ১৬ আগস্ট তাঁর ১ বছরের সাজা হয়।

ইকবাল হোসেনের বাড়ি কুমিল্লা নগরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুজানগরসংলগ্ন দ্বিতীয় মুরাদপুর লস্করপুকুরপাড় এলাকায়। ঘটনার পর থেকে পুলিশ ইকবালকে খুঁজতে শুরু করে। বারবার অবস্থান বদল করার কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের সময় লাগে। ওই বছরের ২১ অক্টোবর রাতে তাঁকে কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, কুমিল্লার ঘটনার পর ১৮ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আসামি রোকন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে পোস্ট দেন। এ ঘটনায় রোকনের বিরুদ্ধে গাজীপুরের টঙ্গী থানায় মামলা হয়। মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ৩০ ডিসেম্বর রোকন ও ইকবালের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে গত বছরের ২৯ জুন আসামি রোকন ও ইকবালের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন।