দিনাজপুর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আরও ৪২টি ট্রাকে করে ভারত থেকে আমদানি করা ৮৮৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এসব পেঁয়াজ আসে।
কৃষি মন্ত্রণালয় গত রোববার জানায়, আজ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া শুরু করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ শাখা। এরপরই পাইকারি বাজারে দাম কমতে শুরু করে।
হিলি স্থলবন্দরে পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন ওরফে প্রতাব মল্লিক প্রথম আলোকে বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ১২টাকা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৪২টি ট্রাকে পেঁয়াজ এসেছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর-রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, আগামীকাল হিলি বন্দর দিয়ে ভারতের নাসিক ও মধ্যপ্রদেশ থেকে ৩৫– ৪০ ট্রাক পেঁয়াজ আসার কথা রয়েছে। এলসি অনুযায়ী সব পেঁয়াজ দেশে এলে স্থানীয় বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম অর্ধেকে নেমে আসবে।
এদিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির দ্বিতীয় দিনেই প্রভাব পড়েছে স্থানীয় পাইকারি ও খুচরা বাজারে। হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম প্রকারভেদে পড়েছে ২৮ থেকে ৩২ টাকা। আর পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে সেই পেঁয়াজ ৩৪–৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিরামপুর নতুন বাজারের পেঁয়াজের পাইকারি ব্যবসায়ী বাবুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ সন্ধ্যায় হিলি বাজারে আমদানিকারকদের গুদাম থেকে ভালোমানের নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৩৭ টাকা কেজিতে কিনেছি। বুধবার সকালে বাজারে এ পেঁয়াজ পাইকারি ৩৮ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি করব।’
এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিরামপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী কাটলাবাজারে বিভিন্ন দোকানে দেশি পেঁয়াজ ৭০-৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।