কোটা আন্দোলনে সমর্থন

ফেসবুকে হুমকির এক দিন পর শিক্ষিকাকে ছুরিকাঘাত

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে এক স্কুলশিক্ষিকা ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। একই সঙ্গে লোহার রড দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে বসুরহাট পৌরসভার টিঅ্যান্ডটি মোড়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহত শিক্ষিকার নাম তাহমিনা ইয়াছমিন (২৮)। তিনি বসুরহাট একাডেমি স্কুলের শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। হামলার ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তাহমিনা।

লিখিত অভিযোগে তাহমিনা উল্লেখ করেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরুর পর থেকেই এর পক্ষে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লেখালেখি করে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিয়ে আসছেন। এর জেরে গত সোমবার ‘সৈনিক বাংলা’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে তাঁকে মেসেঞ্জারে একটি বার্তা পাঠানো হয়। বার্তাটিতে তাঁকে, তাঁর ছেলেকে এবং তাঁর ভাইকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এর পরদিনই তাঁর ওপর হামলা হয়েছে।

তাহমিনা অভিযোগ করেন, সকালে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। টিঅ্যান্ডটি মোড় এলাকায় পৌঁছাতেই দুই-তিনজন ব্যক্তি তাঁর পথরোধ করেন। একজন পেছন থেকে তাঁর মাথায় রড দিয়ে আঘাত করেন। আরেকজন তাঁর পেটে ছুরিকাঘাত করেছেন। এ সময় তাঁর চিৎকারে আশপাশের মানুষজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন।

তাহমিনার বাবা ও চাপরাশিরহাট ইসমাইল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবুল বাশার প্রথম আলোকে বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে লেখালেখির কারণে এভাবে তাঁর মেয়েকে হত্যার চেষ্টা করা হবে, তা তিনি ভাবতেও পারছেন না। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষিকা তাহমিনা ইয়াসমিনের ওপর হামলার ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তবে কারা ওই হামলায় জড়িত, সেটি এখনো শনাক্ত করা যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল বুধবার সকালে বসুরহাটে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বসুরহাট একাডেমির শিক্ষার্থীরা।