সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন লিমিটেডে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী রয়েছেন। দুজনই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে একজন এখনো শঙ্কামুক্ত নন।
চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন ফেন্সি আকতার (২৬)। তিনি সীমা প্ল্যান্টের পাশে একটি জমিতে মাটি কাটার কাজ করছিলেন। সেখানে লোহার বড় একটি খণ্ড উড়ে গিয়ে তাঁর শরীরে আঘাত হানে। এতে তিনি মাথা ও ডান হাতে প্রচণ্ড আঘাত পান।
দুর্ঘটনার পর থেকে ফেন্সি কথা বলতে পারছেন না। মাঝেমধ্যে গোঙানির মতো শব্দ করছেন। মাথাজুড়ে সাদা ব্যান্ডেজে মোড়ানো। ডান হাতে প্লাস্টার। যন্ত্রণায় ছটফট করছেন তিনি। শনিবার বিকেলে অক্সিজেন কারখানায় বিস্ফোরণের পর তাঁর জায়গা হয় হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগে। রোববার সকালে তাঁকে নিউরোসার্জারি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ফেন্সির স্বামী লিটন মিয়া বলেন, দুর্ঘটনাস্থলের পাশের একটি জমিতে মাটি কাটার কাজ করছিলেন তাঁর স্ত্রী। সেখানে বড় একটি লোহার পাত উড়ে গিয়ে আঘাত পান তিনি। এর পর থেকে তিনি কোনো কথা বলতে পারছেন না।
ফেন্সিদের বাড়ি বগুড়ায়। তাঁদের দুই ছেলে। দুজনই বগুড়ায় দাদির কাছে থাকে। লিটন মিয়া পেশায় দিনমজুর। সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। অভাবের সংসার। চিকিৎসকেরা ফেন্সির সিটি স্ক্যান করাতে বলেছেন।
লিটন বলেন, ‘এত টাকা কোথায় পাব জানি না। সিটি স্ক্যান করানোর পর তার অবস্থা জানা যাবে বলেছে।’
নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুল কাদের বলেন, ফেন্সির সিটি স্ক্যান করে দেখতে হবে আঘাতের ধরন কেমন। এরপর কী করা হবে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিস্ফোরণে আহত অপর নারী রোজি বেগম (২০)। তিনি চমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাঁর অবস্থা শঙ্কামুক্ত। তিনি সীমা প্ল্যান্টে দৈনিক ভিত্তিতে পরিচ্ছন্নতার কাজ করতেন। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে মাথা ঘুরে পড়ে যান তিনি। তখন বুক ও মাথায় ব্যথা পান।
হাসপাতালে রোজির সেবায় নিয়োজিত তাঁর বোন তানজিনা আকতার বলেন, অল্পের ওপর দিয়ে গেছে। এখন বোন সুস্থ আছে। কথা বলতে পারেন। চিকিৎসকেরা বললে বাড়িতে নিয়ে যাব।