খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব বড়দিন ও খ্রিষ্টীয় বর্ষবরণের রাতে (থার্টি ফার্স্ট নাইট) ‘নিশ্ছিদ্র’ নিরাপত্তাব্যবস্থা নিতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
আজ রোববার পুলিশ সদর দপ্তরের হল অব প্রাইডে বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাসংক্রান্ত সভায় আইজিপি এ নির্দেশনা দেন।
বড়দিন উপলক্ষে গির্জায় সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য খ্রিষ্টধর্মীয় নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আইজিপি বলেন, কেউ নাশকতার চেষ্টা করলে তাকে আটক করবেন। না পারলে চিনে রাখবেন। পুলিশ তাদের আটক করবে। প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ যোগাযোগের অনুরোধ জানান তিনি।
৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ছয়টার পর ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশের উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন না করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। একই সঙ্গে এদিন রাতে পটকা ও আতশবাজি পোড়ানো এবং ফানুস ওড়ানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর পোস্ট, মন্তব্য বা ছবি দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের প্রতি নির্দেশনা দেন আইজিপি। তিনি কক্সবাজারসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশকে বিশেষ নির্দেশনা দেন।
র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ও জেলার পুলিশ সুপাররা ভার্চ্যুয়াল সভায় যুক্ত ছিলেন।