নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত ছয় সংস্কার কমিশনে আদিবাসী ও সংখ্যালঘুদের কম প্রতিনিধিত্ব নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন চাকমা সার্কেল প্রধান রাজা দেবাশীষ রায়। তিনি তাঁর ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই হতাশার কথা জানান।
এই সংস্কার কমিশনে থাকার জন্য রাজা দেবাশীষকেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে আজ রোববার সকালে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘সংস্কার কমিশন গঠন প্রক্রিয়ায় যাঁরা ছিলেন, তাঁরা আমাকে ওই কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এরপর কীভাবে সেই নিয়োগ প্রস্তাব বাতিল হয়ে গেল, সেটা আমি বলতে পারব না।’
আজ রোববার নিজের ফেসবুক পোস্টে রাজা দেবাশীষ আরও লিখেছেন, ‘(সংস্কার কমিটিতে) আদিবাসী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, নারী এবং অন্যান্য প্রান্তিক বা সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা হয় সম্পূর্ণভাবে অনুপস্থিত বা দৃশ্যমানভাবে অপর্যাপ্ত। এটা একজন নোবেলজয়ীর নেতৃত্বাধীন সরকারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করেছে।’
ফেসবুক পোস্টে রাজা দেবাশীষ লিখেছেন, ‘আমি আশা করছি, এসব কমিশন সংস্কার কমিটি গঠনের বাদ যাওয়া বিষয়গুলো দ্রুত সংশোধন করা হবে। কমিশনের কাজের জন্য যে অল্প সময় দেওয়া হয়েছে, তা দ্রুত হতে হবে—যদি এটা আদৌ সম্ভব হয়।’
২০২৪ সালের আগস্টে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের মাধ্যমে আরও গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের যে ঘোষণা ও স্বপ্ন দেখা হচ্ছে, সংস্কার কমিটির বাদ যাওয়া বিষয় সংশোধন করা না হলে সেই স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে যাবে। আগস্ট-পরবর্তী সংগ্রামকে নিচে টেনে নিয়ে যাবে, যেভাবে বাংলাদেশের অন্যান্য তথাকথিত জন–আন্দোলন অগণতান্ত্রিক, অধর্মনিরপেক্ষ, সাম্প্রদায়িক, সংকীর্ণ, গোষ্ঠীগত ও অন্যান্য প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর নাশকতায় বাস্তবিক অর্থে ব্যর্থ হয়েছিল।
‘আমি আশা করতে চাই, আমাদের বীর ছাত্র এবং আমাদের নাগরিকেরা এটা হতে দেবে না।’