বৈরী আবহাওয়ার কারণে নোয়াখালীর মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নৌ যোগাযোগ কার্যত বন্ধ রয়েছে। একমাত্র সি-ট্রাকটি দুই দিন ধরে চলছে না।
স্পিডবোটের চলাচলও বন্ধ। ঝুঁকি নিয়ে সীমিতসংখ্যক ট্রলার চলছে। ফলে একরকম বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে হাতিয়া। সি-ট্রাক না চলার কারণে অনেক যাত্রী আজ রোববার সকালে চেয়ারম্যানঘাটে গিয়ে ফিরে এসেছেন।
হাতিয়ার চেয়ারম্যানঘাটে চলাচল করা নৌযানের চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাগরে লঘুচাপ থাকার কারণে দুই দিন ধরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত বজায় রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ কারণে গতকাল শনিবার থেকে চেয়ারম্যানঘাট-নলচিরা নৌরুটে সি-ট্রাক ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সীমিত আকারে চলছে ট্রলার। তবে নদী উত্তাল থাকায় এ সময়ে ট্রলারে যাত্রী পারাপারও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।
আজ সকালে হাতিয়ার উদ্দেশ্যে জেলা শহর মাইজদী থেকে চেয়ারম্যানঘাট গিয়েছিলেন রাশেদ হোসেন নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। তিনি বলেন, নদী বেশ উত্তাল থাকায় সি-ট্রাক চলাচল করছে না। দু-একটি ট্রলার চললেও বৃষ্টিতে ভিজে ট্রলারে যাতায়াত অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। তাই তিনি ফিরে এসেছেন জেলা শহরে।
চেয়ারম্যানঘাট-নলচিরা নৌরুটের সি-ট্রাকের সার্টার এজেন্ট (ইজারাদার) গোলাম মাওলা বলেন, আবহাওয়ার অধিদপ্তর থেকে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি থাকলে সি-ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখার সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। এ কারণে গতকাল থেকে হাতিয়ার চেয়ারম্যানঘাট-নলচিরা রুটে সি-ট্রাক চলাচল বন্ধ। সতর্কতা সংকেত তুলে নেওয়া হলে পুনরায় সি-ট্রাক চলাচল স্বাভাবিক হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভাশীষ চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, গত দুই দিনের তুলনায় হাতিয়ার আবহাওয়া পরিস্থিতি আজ বেশ খারাপ। ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। তবে দু-একটি ট্রলারে ঝুঁকি নিয়ে কিছু মানুষ চলাচল করছে বলে তিনি শুনেছেন।