‘আন্তধর্মীয় সংলাপ এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ শীর্ষ আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন আরমা দত্ত। জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তন। ঢাকা, ১৭ অক্টোবর
‘আন্তধর্মীয় সংলাপ এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ শীর্ষ আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন আরমা দত্ত। জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তন। ঢাকা, ১৭ অক্টোবর

আলোচনা সভায় বিশিষ্টজনেরা

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেন সাম্প্রদায়িক হামলা না হয়

জাতীয় নির্বাচনে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সহিংসতার শিকার হয়। এবারও নির্বাচনের আগে থেকেই বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। কিন্তু সরকার সেভাবে নজর দিচ্ছে না। এবার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেন সাম্প্রদায়িক ঘটনা না ঘটে। নির্বিঘ্নে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটাররা যেন নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন।

‘আন্তধর্মীয় সংলাপ এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে এ সভার আয়োজন করে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’।

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘এবার নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই দেখছি, বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু সরকার সেভাবে নজর দিচ্ছে না। বিষয়গুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক ঘটনা দেখতে চাই না।’

রাষ্ট্র, প্রশাসন ও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিস্তার ঘটছে উল্লেখ করে শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘২০১৮ সালে মানবাধিকার কমিশনকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছিলাম। ৬২টি নির্বাচনী এলাকা চিহ্নিত করেছি, যেখানে তুলনামূলকভাবে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় খুব বেশি, সেখানে দেখেছি যে নির্বাচন হলেই তাদের ওপর হামলা হয়।’

নির্বাচন এলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা সহিংসতার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয় উল্লেখ করে সংসদ সদস্য আরমা দত্ত বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন এলে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে সহিংসতা হয়। স্বাধীনতাবিরোধী একটি গোষ্ঠী এ ষড়যন্ত্র করে। তারা ধর্ষণকে একটি অস্ত্র হিসেবে দেখে। নির্বাচন এলেই বিভিন্ন ধর্মের মানুষ এ অস্ত্রের শিকার হয়।

বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয় বলেন, ‘বিগত নির্বাচনের পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। আসন্ন নির্বাচনে যাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নির্বিঘ্নে ভোটদানে অংশগ্রহণ করতে পারে। সরকার, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানাই, যাতে করে আমাদের অধিকার সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করতে পারি।’

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন কলাম লেখক শাওন মাহমুদ, বাংলাদেশ মানবাধিকার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা মহিব উল্লাহ শান্তিপুরী, ঢাকার শ্রী শ্রী প্রণব মঠের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী সঙ্গীতানন্দজী মহারাজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান তপন ডি রোজারিও।