বাংলাদেশের জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাকসান্দ রামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। ইমার্জেন্ট লিডারশিপ ক্যাটাগরিতে রাকসান্দকে পুরস্কারটি দেওয়া হয়েছে। পুরস্কার প্রদানের অনুষ্ঠানটি ১১ নভেম্বর ম্যানিলায় মেট্রোপলিটন থিয়েটারে অনুষ্ঠিত হয়। আজ রোববার জাগো ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ বছর বিভিন্ন বিভাগে চারজনকে ম্যাগসাইসাই পুরস্কার দেওয়া হয়। বাংলাদেশের করভি রাকসান্দসহ আরও রয়েছেন ভারতের রবি কান্নান আর, ফিলিপাইনের মিরিয়াম করোনেল-ফেরার এবং পূর্ব তিমুরের ইগুয়েনিও লেমোস। গত ৩১ আগস্ট সকালে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়। আর এই নামের সারিতে বাংলাদেশের রাকসান্দ স্থান করে নেন সামাজিক ও স্থিতিশীল উন্নয়নে তাঁর অবদানের জন্য।
করভি রাকসান্দর হাতে পুরস্কারটি তুলে দেন চেয়ারম্যান তৃতীয় অরেলিও আর. মন্টিনোলা এবং সিনেটর র্যামন বি. ম্যাগসাইসাই জুনিয়র। অনুষ্ঠানটিতে বক্তব্য দেন ২০০২ সালের র্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কারপ্রাপ্ত দক্ষিণ কোরিয়ার দ্য ভেনারেবল পমনিয়ান সুনিম। সম্মানিত ব্যক্তিদের মধ্যে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ফিলিপাইনের ফার্স্ট লেডিখ্যাত লিজা অ্যারানেতা-মার্কোস।
জাগো ফাউন্ডেশনের দূরদর্শী নেতৃত্বে সামাজিক পরিবর্তনে উদ্যোগী ভূমিকা রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর র্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার পেলেন করভি রাকসান্দ। জাগো ফাউন্ডেশন স্কুল এবং ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি) কর্মসূচি তাঁর অধীনে পরিচালিত হয়। ভিবিডি সংগঠনে বর্তমানে ৫০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচির জন্য উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন। অন্যদিকে জাগো ফাউন্ডেশন স্কুল শিক্ষার মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিদের সাহায্য প্রদানের লক্ষ্যে সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
র্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কারকে এশিয়ার নোবেল পুরস্কার বলা হয়। পুরস্কারটি এশিয়া মহাদেশে সমাজের জন্য উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা হয়। এ পর্যন্ত ৩৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এই কাতারে এবার যোগ দিলেন বাংলাদেশ থেকে রাকসান্দ।
ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট র্যামন ম্যাগসাইসাইয়ের স্মরণে ১৯৫৭ সালে রকেফেলার ব্রাদার্স ফান্ড প্রবর্তন করে র্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার। নিষ্ঠা, সাহস ও আত্মত্যাগের সঙ্গে কাজ করার মধ্য দিয়ে যাঁরা এশিয়াতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই পুরস্কারের আয়োজন।