গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম আইনে করা মামলাটি চলবে। এই মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে তাঁরা যে আবেদন করেছিলেন, আজ আপিল বিভাগ সেটা চূড়ান্ত খারিজ করে দিয়েছেন।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে হাইকোর্টেও একই আবেদন খারিজ করেছিলেন। আপিল বিভাগ সেটাই বহাল রাখলেন।
প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন। তিনি বলেন, আপিল বিভাগের এই রায়ের ফলে বিচারিক আদালতে মামলা চলবে।
আদালতে ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী খাজা তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তাঁর সঙ্গে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে আরও শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এর আগে ১৩ আগস্ট ড. ইউনূসসহ চারজনের করা আবেদন আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ১৭ আগস্ট দিন নির্ধারণ করেছিলেন চেম্বার আদালত।
গত ৬ জুন বিচারিক আদালত এ মামলায় অভিযোগ গঠন করেন। সেই আদেশ বাতিল চেয়ে ড. ইউনূসসহ চারজন হাইকোর্টে আবেদন করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২৩ জুলাই হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ রুল দেন। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। শুনানি নিয়ে ৩ আগস্ট আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন নিষ্পত্তি করে দিয়ে হাইকোর্টের অপর একটি দ্বৈত বেঞ্চ দুই সপ্তাহের মধ্যে রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। শুনানি শেষে ৮ আগস্ট হাইকোর্ট আবেদন খারিজ করে দেন।
হাইকোর্টের ওই রায় স্থগিত চেয়ে ১০ আগস্ট আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন ড. ইউনূসসহ চারজন। আবেদনকারী অপর তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের এক শ্রম পরিদর্শক। এ মামলায় গত ৬ জুন ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক।