মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন চট্টগ্রাম ১৬ আসনের(বাঁশখালী) সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ও তাঁর অনুসারীরা। এ সময় তাঁদের হাতে বেশ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী হেনস্তা ও মারধরের শিকার হন। আজ সকাল সাড়ে ১১ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে
মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন চট্টগ্রাম ১৬ আসনের(বাঁশখালী) সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ও তাঁর অনুসারীরা। এ সময় তাঁদের হাতে বেশ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী হেনস্তা ও মারধরের শিকার হন। আজ সকাল সাড়ে ১১ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে

সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগে চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাঁকে আগামীকাল শুক্রবার বেলা তিনটার মধ্যে ওই আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে সশরীর অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম-১৬ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম জেলা যুগ্ম জজ (২য় আদালত) আবু সালেম মোহাম্মদ নোমান। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ শাহবুদ্দিন প্রথম আলোকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মোহাম্মদ শাহবুদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় ইনডিপেনডেন্ট টিভির ব্যুরো প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছেন। এটি নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির প্রধানের কাছে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় মোস্তাফিজুর রহমানকে চট্টগ্রাম-১৬ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কাছে হাজির হতে বলা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ১০ জন কর্মী নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন মোস্তাফিজুর রহমান। কক্ষের বাইরে তখনো আরও ১০ থেকে ১২ জন কর্মী দাঁড়িয়ে ছিলেন; যা নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন।

মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বের হওয়ার পর আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে কি না, এমন প্রশ্ন করলে মোস্তাফিজুর রহমান সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্নকারী ইনডিপেনডেন্ট টিভির সাংবাদিক রাকিব উদ্দিনের দিকে তেড়ে যান এবং তাঁকে মারধর করেন। এ সময় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও চ্যানেল আইয়ের ব্যুরো প্রধান চৌধুরী ফরিদসহ আরও কয়েকজন সাংবাদিককে ধাক্কা দেন মোস্তাফিজ ও তাঁর কর্মীরা।

এ বিষয়ে বেলা একটায় জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন সাংবাদিকেরা। সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। এ সময় জেলা প্রশাসক জানান, এ ঘটনায় নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি ব্যবস্থা নিচ্ছে। কমিটি ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে কথা বলবে।