ডলার–সংকটে বাংলাদেশ থেকে আয়ের অর্থ দেশে নিতে পারছে না বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো। এতে করে বাংলাদেশে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ২১ কোটির বেশি ডলার আটকা পড়ে রয়েছে।
আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থা (আইএটিএ) গত রোববার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। আইএটিএ প্রায় ৩০০টি এয়ারলাইনসের, অর্থাৎ বিশ্বজুড়ে চলাচলকারী উড়োজাহাজের ৮৩ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে।
আইএটিএর বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হচ্ছে, বিদেশি এয়ারলাইনসের অর্থ আটকে পড়ার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ। সবচেয়ে বেশি অর্থ আটকা পড়ে আছে নাইজেরিয়ায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের তুলনায় এ বছরের এপ্রিলে আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন খাতে আটকে থাকা অর্থ প্রায় ৪৭ শতাংশ বেড়েছে। ২০২২ সালের এপ্রিলে বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া তহবিলের পরিমাণ ছিল ১৫৫ কোটি মার্কিন ডলার। গত এপ্রিলে তা বেড়ে ২২৭ কোটি মার্কিন ডলারে গিয়ে ঠেকে।
এর মধ্যে এয়ারলাইনগুলোর অর্থ সবচেয়ে বেশি ৮১ কোটি ২২ লাখ ডলার আটকা পড়েছে নাইজেরিয়ায়। এরপর যথাক্রমে বাংলাদেশে ২১ কোটি ৪১ লাখ, আলজেরিয়ায় ১৯ কোটি ৬৩ লাখ, পাকিস্তানে ১৮ কোটি ৮২ লাখ ও লেবাননে ১৪ কোটি ১২ লাখ ডলার আটকা পড়ে রয়েছে।
আইএটিএর মহাপরিচালক উইলি ওয়ালশ বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে এয়ারলাইনসগুলো এসব বাজারে (যেসব দেশে অর্থ আটকা) তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে না। কারণ, এসব বাজারে বাণিজ্যিক কার্যক্রম থেকে আসা আয় ফেরত আনা তাদের জন্য প্রায় অসম্ভব। এ সংকট সমাধানে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ এখন দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ৩৪টি এয়ারলাইনস, অর্থাৎ বিমান পরিবহন সংস্থা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মধ্যে দেশীয় এয়ারলাইনস রয়েছে চারটি। এ ছাড়া বাকি ৩০টিই বিদেশি।