সম্প্রতি আলোচিত উচ্চ পদে আসীন ব্যক্তিদের দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত দেখতে চায় টিআইবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাসায় কর্মরত সাবেক এক কর্মীর ৪০০ কোটি টাকার মালিক হওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমে যেভাবে তুলে ধরেছেন, সেটাকে তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) দুর্নীতিবিরোধী কঠোর অবস্থানের পরিচায়ক বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সেই কর্মীর মতো একইভাবে সম্প্রতি আলোচিত উচ্চ পদে আসীন ব্যক্তিদের দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত দেখতে চায় দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।

আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, সাবেক সেনাপ্রধান, সাবেক পুলিশ প্রধান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্যসহ সব উচ্চ পদে আসীন ব্যক্তিদের দুর্নীতির অভিযোগের সুষ্ঠু ও স্বার্থের দ্বন্দ্বমুক্ত তদন্ত করতে হবে। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স ঘোষণা এবং ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনী ইশতেহারের আলোকে একটি সুনির্দিষ্ট পথরেখা তৈরির আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি। ওই পথরেখার কঠোর প্রয়োগও চায় সংস্থাটি।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বাসার সাবেক কর্মীর ৪০০ কোটি টাকার মালিক হওয়ার বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান করতে পারে। অনুসন্ধানে যদি তাঁর আর্থিক অবস্থা অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রমাণিত হয়, তবে তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে সরকারপ্রধানের এ অবস্থান অবমাননাকর হবে। কারণ, দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিতের আইনগত বাধ্যবাধকতা ও রাজনৈতিক প্রত্যয়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্টভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা ও বিচারহীনতার কারণে জনমনে উদ্বেগ ও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের মাধ্যমে জনমনে উদ্বেগ ও শঙ্কা নিরসনের পথ সুগম হবে বলে মনে করে টিআইবি।

টিআইবি বলেছে, প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণা সরকার ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অর্থসম্পদ আহরণকারীদের বিচারের আওতায় আনা যাবে।