সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ
সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ

সাবেক মেয়র তাপস, ডিবির হারুন ও তাঁর পরিবারের ৯ জনকে দুদকে তলব

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে পৃথক চিঠি পাঠিয়ে তাঁদের তলব করা হয়।

চিঠিতে দুদক বলেছে, শেখ ফজলে নূর তাপস অনিয়ম–দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাঁকে আগামী ৩ নভেম্বরের মধ্যে দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দুদকে হাজির হয়ে তিনি বক্তব্য দিতে ব্যর্থ হলে, এ বিষয়ে তাঁর কোনো বক্তব্য নেই বলে ধরে নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ৩ আগস্ট রাতে পরিবারসহ দেশ ছাড়েন। তিনি ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুর যান। তাঁর পরিবার পৃথক ফ্লাইটে যায় লন্ডনে।

এদিকে আজ দুদকের আরেক চিঠিতে বলা হয়, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে অনিয়ম–দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে হারুন ও তাঁর পরিবার এবং ব্যবসায়ী অংশীদারসহ ১২ জনকে দুদক কার্যালয়ে তলব করা হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য জানতে ৩১ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বরের মধ্যে দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।

দুদকের চিঠিতে হারুন ছাড়াও যাঁদের তলব করা হয়েছে তাঁরা হলেন হারুনের স্ত্রী শিরিন আক্তার, মা জহুরা খাতুন, ভাই এ বি এম শাহরিয়ার, শ্বশুর মো. সোলায়মান, দুই চাচা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও মতিউর রহমান, খালা মিনারা বেগম, মামা সুমরাজ মিয়া, চাচাতো ভাই আল রাসেল, তাঁর দুই ব্যবসায়িক অংশীদার আলাউদ্দিন আল সোহেল ও রাকিব উদ্দিন দেওয়ান।

২১ অক্টোবর মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সব ধরনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে থাকা হিসাবও জব্দ করেছে কর বিভাগ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) থেকে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীদের সেদিন এ–সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পরও আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য অবৈধভাবে দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। ইতিমধ্যে অনেকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। পালাতে গিয়ে সীমান্তে ধরাও পড়েছেন কেউ কেউ। সীমান্ত পার হতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।