সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হচ্ছে ৯ দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসব। উৎসবের সপ্তদশ এই আয়োজনে মঞ্চস্থ হবে ১৫টি নাটক। নাটকগুলোর নির্দেশনা দেবেন থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের স্নাতক সমাপনী সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা, অভিনয়ও করবেন তাঁরাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শুরু হবে প্রদর্শনী। এবারের উৎসবে বিশেষ সম্মাননা পাচ্ছেন নাট্যকার মামুনুর রশীদ।
‘হে খোলা চোখ এই উদিত স্বপ্নের দেশে এসো/ নতুন ভাবরস আর পুরাতন প্রজ্ঞায় জগৎ বোধন করি’ প্রতিপাদ্যে নাট্যোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় টিএসসি মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উৎসবের উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। সেখানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামাল।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটক দিয়ে শুরু হবে এবারের উৎসব। নাটকটির নির্দেশনা দেবেন ইফতি শাহরিয়ার। এরপর মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) উৎসবে থাকছে রিফাত জাহানের নির্দেশনায় সেলিম আল দীনের নাটক ‘সঙবাদ কার্টুন’ এবং রিফাত করবীর নির্দেশনায় আহমদ ছফার নাটক ‘মরণবিলাস’। বুধবার (৪ অক্টোবর) থাকছে মুজাহিদুল ইসলামের নির্দেশনায় মনোজ মিত্রের নাটক ‘মহাবিদ্যা’ এবং রিজভী সুলতানার নির্দেশনায় রবীন্দ্রনাথের নাটক ‘চণ্ডালিকা’। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) থাকছে তাহিয়া তাসনিমের নির্দেশনায় সৈয়দ শামসুল হকের নাটক ‘ঈর্ষা’ এবং মৌমিতা সরকারের রচনা ও নির্দেশনায় নাটক ‘বৈদেহী’।
উৎসবে ৬ অক্টোবর মিরহাজুল শিবলীর নির্দেশনায় থাকছে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নাটক ‘কমলাকান্তের জবানবন্দী’, একই দিন জাদিদ ইমতিয়াজ আহমেদের নির্দেশনায় থাকবে আবদুল্লাহ আল মামুনের নাটক ‘কোকিলারা’।
৭ অক্টোবর থাকছে তরিকুল সর্দারের নির্দেশনায় উৎপল দত্তের নাটক ‘মেঘ’ এবং একই দিন সালমান নূরের নির্দেশনায় থাকবে নূরুল মোমেনের নাটক ‘নেমেসিস’।
৮ অক্টোবর থাকছে প্রাণ কৃষ্ণ বণিকের নির্দেশনায় শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাটক ‘সত্যান্বেষী’ এবং একই দিন এস এ তানভীরের নির্দেশনায় রবীন্দ্রনাথের নাটক ‘স্ত্রীর পত্র’। ৯ অক্টোবর দেবলীনা চন্দ্র দৈবীর নির্দেশনায় থাকছে বদরুজ্জামান আলমগীরের নাটক ‘অহরকণ্ডল’, একই দিন জয়া কস্তার নির্দেশনায় মুনীর চৌধুরীর নাটক ‘দণ্ডকারণ্য’।
থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপারসন কাজী তামান্না হক বলেন, এবারের উৎসবের উল্লেখযোগ্য বিশেষ দিক হচ্ছে, তরুণেরা বাংলা ভাষার প্রথিতযশা সাহিত্যিকদের রচিত পাণ্ডুলিপি নিয়ে নাটক নির্দেশনা দিচ্ছে। এই নান্দনিক আয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ঐতিহ্য ও অসাম্প্রদায়িক মানবিক মূল্যবোধ আরও বেগবান হবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস।