চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

ভর্তি পরীক্ষায় ভাতা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন শিক্ষকেরা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার দায়িত্ব পালনে ভাতা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। আজ শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন কার্যালয়ে চার অনুষদের ডিনের সঙ্গে শিক্ষক সমিতির নেতাদের এক সভা হয়। সভা শেষে ভাতা নেওয়ার সিদ্ধান্তটি নিশ্চিত করেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল হক।

এর আগে গত মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ভর্তি পরীক্ষার দায়িত্ব পালনে ভাতা না নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল শিক্ষক সমিতি। ভর্তি পরীক্ষার আয়ের টাকা কোন খাতে খরচ করা হবে, এর যথাযথ ব্যাখ্যা না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছিল।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষকেরা পরিদর্শক, প্রধান পরিদর্শক ও সমন্বয়কারী এ তিন ক্যাটাগরিতে দায়িত্ব পালন করেন। প্রতি শিফটের পরীক্ষায় শিক্ষকেরা ভাতা পান ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ২০০ টাকা। একজন শিক্ষক পুরো ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর মোট ভাতা পাবেন প্রায় ১৯ থেকে ২২ হাজার টাকা। এ ভাতা পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করেন অনেক শিক্ষক। শিক্ষক সমিতিও বিভিন্ন কর্মসূচিতে জানিয়েছে এ ভাতা সম্মানজনক নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা করেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন। শিক্ষক সমিতির নেতাদের সঙ্গে হওয়া হওয়া এ বৈঠকে চার অনুষদের ডিন উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হলেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন সিরাজ উদ দৌল্লাহ, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন মোহাম্মদ নাসিম হাসান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন হেলাল উদ্দিন নিজামী ও জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন মো. তৌহিদ হোসেন।  

আর শিক্ষক সমিতির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক আবদুল হক, কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ শেখ সাদী ও লায়লা খালেদা।  

জানতে চাইলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত শিক্ষক সমিতির দাবি বাস্তবায়নে দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে এমন আশ্বাসে তাঁরা আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় যে ভাতা নির্ধারণ করেছে সেটি তাঁরা নেবেন।  

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে আগামীকাল শনিবার। আর শেষ হবে ১৬ মার্চ। প্রতিবছরের মতো এবছরও চারটি ইউনিট ও দুটি উপ–ইউনিটে পরীক্ষা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসন রয়েছে ৪ হাজার ৯২৬টি। এর মধ্যে সাধারণ আসন ৪ হাজার ১৮৯টি। আর বাকি ৭৩৭টি আসন কোটায় বরাদ্দ থাকবে। এ বছর মোট পরীক্ষায় বসবেন ২ লাখ ৪৩ হাজার ৫৫৫ শিক্ষার্থী।