চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় করা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দীন মোহাম্মদ (৫৩) মারা গেছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি। এর আগে গত বছরের আগস্টে এ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুর রহিম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
কারা সূত্রে জানা গেছে, দীন মোহাম্মদ চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দী ছিলেন। চিকিৎসার জন্য গত মাসে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। পরে গত ২৯ সেপ্টেম্বর তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মারা যান তিনি। দীন মোহাম্মদ অস্ত্র খালাসে শ্রমিক সরবরাহকারী হওয়ায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাঈনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে দীন মোহাম্মদের অসুস্থতার বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারেননি তিনি।
দীন মোহাম্মদের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে এসআই মাঈনুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন না পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বলা যাবে না।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাকভর্তি অস্ত্রের চালান। এ নিয়ে কর্ণফুলী থানায় ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন ও ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগ এনে দুটি মামলা হয়। এর মধ্যে অস্ত্র চোরাচালান মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া এবং দুটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। ইতিমধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দণ্ডিত হয়ে নিজামীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
আরও পড়ুন:
যেভাবে ধরা পড়ে ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান
কী কী অস্ত্র ছিল