প্রবাসীকল্যাণ ভবনে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের ‘অমর একুশে’ সম্মেলন কক্ষে আজ বুধবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিদেশফেরত কর্মীদের অর্থসহায়তা দেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়
প্রবাসীকল্যাণ ভবনে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের ‘অমর একুশে’ সম্মেলন কক্ষে আজ বুধবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিদেশফেরত কর্মীদের অর্থসহায়তা দেওয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়

নগদ সহায়তা পাচ্ছেন ২ লাখ বিদেশফেরত কর্মী

বিদেশফেরত দুই লাখ অভিবাসী কর্মীকে সাড়ে ১৪ হাজার টাকা করে মোট ২৭০ কোটি দেওয়া হচ্ছে। ২০১৫ সাল থেকে দেশে ফেরত আসা কর্মীরা এ সুবিধা পাচ্ছেন। প্রথম ধাপে ৫১৬ কর্মীর ব্যাংক হিসাবে এ সহায়তা পাঠানো হয়েছে।

আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ নগদ সহায়তা দেওয়া শুরু হয়েছে। প্রবাসীকল্যাণ ভবনে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের ‘অমর একুশে’ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে অনলাইন ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে এ অর্থ দেওয়া হয়।

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পটুয়াখালীর মোসাম্মাৎ পিয়ারা বেগম এবং পাবনার মো. সোহেল রানার ব্যাংক হিসাবে নগদ প্রণোদনার টাকা হস্তান্তর করেন। একই সঙ্গে ৫১৪ জন বিদেশফেরত অভিবাসী কর্মীর ব্যাংক হিসাবে নগদ প্রণোদনা পাঠাতে ব্যাংকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বোয়েসেল, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, বিসিক, বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বিএমইটি, পিকেএসএফ, আইনসহায়তা প্রদানকারী সংস্থা ব্লাস্ট, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর, প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, জনতা ব্যাংকের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের কর্মকর্তারা।

সিনিয়র সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় ও সহযোগিতার মাধ্যমে বিদেশফেরত অভিবাসী কর্মীদের আত্মকর্মসংস্থানে সহযোগিতা করতে হবে। এ লক্ষ্যে প্রকল্পের উপকারভোগীদের কীভাবে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা যায়, এ বিষয়ে প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ইউনিট এবং মাঠপর্যায়ে কর্মরত ওয়েলফেয়ার সেন্টারের কর্মচারীদের আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

বিদেশফেরত প্রবাসীদের পুনরেকত্রীকরণের জন্য ‘রিকভারি অ্যান্ড অ্যাডজাস্টমেন্ট অব ইনফরমাল সেক্টর এমপ্লয়মেন্ট (রেইস)’ প্রকল্পটি নেওয়া হয় করোনা মহামারি শুরুর পর। এ প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা করেছে বিশ্বব্যাংক।

প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) সৌরেন্দ্র নাথ সাহা বলেন, বিদেশফেরত অভিবাসী কর্মীদের পুনরেকত্রীকরণ তথা আত্মকর্মসংস্থানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে কর্মীরা রেফারেলের আওতায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও আর্থিক কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে নিজেরাই নিজের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবেন।

সভাপতির বক্তব্যে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক হামিদুর রহমান বলেন, প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে বোর্ড বিদেশফেরত অভিবাসী কর্মীদের কল্যাণে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। যাতে করে অভিবাসী ভাই-বোনেরা সম্মানের সাথে মাথা উঁচু করে চলতে পারেন।