টিকটকার আবদুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুন
টিকটকার আবদুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুন

টিকটকার প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র

টিকটকার আবদুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। সম্প্রতি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯–এ বদলি করা হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, গত অক্টোবরে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। পরে নভেম্বরে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯–এ বদলি করা হয়।

গত ১০ জুন কুমিল্লা থেকে মামুনকে গ্রেপ্তার করে ক্যান্টনমেন্ট থানা-পুলিশ। পরদিন তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন ওই নারী। পরে গত ১ জুলাই ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন পান মামুন। মামুনের পক্ষ থেকে আদালতের কাছে দাবি করা হয়েছে, তিনি নিরপরাধ। হয়রানি করার জন্য তাঁকে মামলার আসামি করা হয়েছে।

মামলায় ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, আসামি প্রিন্স মামুনের সঙ্গে তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁর পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে বিয়ের আশ্বাস দেখিয়ে তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন মামুন।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, মামুন জানান তাঁর ঢাকায় থাকার মতো নিজের কোনো বাসা নেই। প্রেমের সম্পর্ক এবং বিয়ের কথা বলায় সরল বিশ্বাসে তিনি (বাদী) মামুনকে নিজের বাসায় থাকতে দেন। ওই নারী আরও বলেন, ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তাঁর মাকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর বাসায় বসবাস করতে থাকেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।

ওই নারীর অভিযোগ, একাধিকবার বিয়ের বিষয়ে বললেও মামুন বিভিন্ন অজুহাতে সময় ক্ষেপণ করতে থাকেন। সর্বশেষ গত ১৪ মার্চ মামুন তাঁকে বিয়ে করবেন, এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে তিনি বিয়ের কথা বললে মামুন খেপে ওঠেন এবং অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন। মামুনের মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরাও তাঁকে গালাগাল করেন।