ত্রিপল দিয়ে ঢাকা একটি মালবাহী ট্রাককে থামার জন্য সংকেত দেয় পুলিশ। কিন্তু চালক সেই সংকেত উপেক্ষা করে দ্রুতগতিতে ট্রাক নিয়ে আগাতে থাকেন। সন্দেহজনক হওয়ায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে ট্রাকের পেছনে ধাওয়া দেয় পুলিশ। প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ অতিক্রমের পর ট্রাকটিকে আটক করে পুলিশ। পরে ত্রিপল খুলতেই ভেতরে মেলে ৪২২ বস্তা অবৈধ ভারতীয় চিনি। গতকাল বুধবার সকালে সিলেট সদর উপজেলার সুরমা বাইপাস পয়েন্টে ঘটনাটি ঘটেছে।
এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন ট্রাকচালক ও রাজশাহীর বাঘা উপজেলার শারুক (২৮), মো. ইমন হোসেন (১৯) ও সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার মো. আজির উদ্দিন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকালে সিলেটের বাইপাস পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করছিলেন মহানগরের শাহপরান (রহ.) মাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা। সকাল সাড়ে আটটার দিকে ওই ট্রাক মুরাদপুর পয়েন্টের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় পুলিশ সদস্যরা ট্রাকটিকে থামার জন্য সংকেত দেয়। পরে ধাওয়া করে ট্রাকটির গতিরোধ করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, জব্দ হওয়া ৪২২ বস্তার প্রতিটিতে ৪৯ কেজি করে চিনি আছে। এ হিসাবে ট্রাকটিতে মোট ২০ হাজার ৬৭৮ কেজি চিনি ছিল; যার আনুমানিক মূল্য ২৪ লাখ ৮১ হাজার ৩৬০ টাকা। পরে জব্দ করা চিনি মহানগরের শাহপরান থানায় হস্তান্তরের পর চারজনকে আসামি করে মামলা করেন শাহপরান (রহ.) মাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সানাউল ইসলাম। এ মামলায় গ্রেপ্তার ওই তিনজন ছাড়া চোরাই চিনির স্বত্বাধিকারী ও সিলেটের গোয়াইনঘাটের লামা ফতেহপুর গ্রামের হিলালকে আসামি করা হয়।
এ বিষয়ে উপপরিদর্শক মো. সানাউল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, সরকারি শুল্ক ও কর ফাঁকি দিয়ে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে এসব ভারতীয় চিনি রংপুরে পাচার করা হচ্ছিল।
এদিকে গতকাল ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে সিলেট নগরের চৌকিদেখি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬৯০ বস্তা ভারতীয় চোরাই চিনি জব্দ করেছে সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসব বস্তায় মোট ৩৩ হাজার ৮১০ কেজি চিনি পাওয়া গেছে, যার আনুমানিক মূল্য ৪০ লাখ ৫৭ হাজার ২০০ টাকা। এর বাইরে প্রায় ৬০ হাজার টাকার সমপরিমাণ ভারতীয় জিরা জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় ছয়টি ট্রাক আটকের পাশাপাশি মো. হাসান নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা হয়েছে।