মাস্ক পরে এসে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের মূল ফটকের তালা ভাঙছে একদল লোক। বুধবার সন্ধ্যায়
মাস্ক পরে এসে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের মূল ফটকের তালা ভাঙছে একদল লোক। বুধবার সন্ধ্যায়

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে দুর্বৃত্তদের হামলা, ২০ সাংবাদিক আহত

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে দুর্বৃত্তদের হামলায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় নগরের জামাল খানে অবস্থিত প্রেসক্লাবে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল এসে সাংবাদিকদের উদ্ধার করে।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যায় একদল দুর্বৃত্ত হাতুড়ি ও শাবল দিয়ে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের মারধরও করে তারা।

হামলার নেতৃত্বে ছিলেন বিএনপির নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারী আমিনুল ইসলাম ও সাংবাদিক সাইফুল ইসলামসহ ৩০ থেকে ৪০ জন। অথচ নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও সদস্যসচিব নাজিমুর রহমান এর আগে দুপুরে পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলামের সামনে প্রেসক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের জানান, এসব অপকর্মের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। যাঁরা এ দুর্বৃত্তপনায় জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান তাঁরাও।

জানতে চাইলে আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রেসক্লাবে ঢোকার আগে বিকেলে সমাবেশে ছিলাম। ভাঙচুর কিংবা অন্য ঘটনা আমার নেতৃত্বে হয়নি।’ আর হামলার সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলে সাইফুল ইসলাম দাবি করেন।

প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক জানান, বিএনপি-জামায়াতের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কিছু দুর্বৃত্ত ক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার কক্ষ ভাঙচুর করে। তছনছ করে ক্লাবের গুরুত্বপূর্ণ নথিও। এ সময় দুর্বৃত্তদের সঙ্গে ছিলেন মাদক, ধর্ষণ মামলার আসামি ও ভূমিদস্যুরা। ঐতিহ্যবাহী একটি সংগঠনে এমন হামলার নিন্দা জানান তিনি।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই নিন্দনীয়। এ ব্যাপারে পুলিশ কমিশনার, সেনাবাহিনীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করবে প্রশাসন। দলমত নিরপেক্ষ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বারবার দুর্বৃত্তদের এমন হামলার ঘটনায় আমরাও উদ্বিগ্ন।’