শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও আন্দোলনের মুখে অবশেষে এক দিন পর ছাত্রাবাসে আসন বরাদ্দের তালিকা প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার বেলা তিনটার পর তালিকা প্রকাশ করে প্রশাসন। এরপর ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে আনন্দমিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে আসন বরাদ্দের তালিকা প্রকাশের জন্য অধ্যক্ষের কক্ষের সামনে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, প্রতিষ্ঠানে চারটি ছাত্রাবাসের মধ্যে দুটি বসবাসযোগ্য। দুই ছাত্রাবাসের আসন বরাদ্দের জন্য আবেদনের শেষ সময় ছিল ১৪ নভেম্বর। যাচাই-বাছাই শেষে তিন দিনের মধ্যে তালিকা প্রকাশের কথা থাকলেও প্রশাসন তালিকা প্রকাশ করেনি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় তালিকা প্রকাশের আশ্বাস দিয়েও করা হয়নি। তাই শিক্ষার্থীরা এদিন সন্ধ্যায় একবার বিক্ষোভ করেন। ২০০৯ থেকে ছাত্রাবাসগুলো বন্ধ।
ইনস্টিটিউটের পুরকৌশল বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী আল আমিন বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় বিক্ষোভের পর আজ সকালেও একবার বিক্ষোভ করা হয়। অধ্যক্ষ বেলা তিনটার পর্যন্ত সময় চেয়েছিলেন। এর মধ্যে তালিকা প্রকাশ হয়নি। শিক্ষার্থীরা আবারও অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে ১০ মিনিট পর তালিকা প্রকাশ হয়। কিছু রাজনৈতিক দলের সদস্যরা মূলত নিজেদের দখলে রাখার জন্য নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তালিকা প্রকাশ করতে দেননি।
সরেজমিন আজ বেলা আড়াইটার দিকে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভেতরে শিক্ষার্থীদের অবস্থান দেখা যায়। তাঁরা জড়ো হয়ে অধ্যক্ষের কক্ষের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. ইয়াসিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা তিনটার মধ্যে আসন বরাদ্দের তালিকা প্রকাশ করে দেব।’ তিনি এর বেশি কথা বলতে রাজি হননি।
অধ্যক্ষের কক্ষের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীরা বলেন, এখানে বিভিন্ন জেলার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করেন। অনেকেই ২০-২৫ কিলোমিটার দূর থেকে প্রতিদিন যাতায়াত করে ক্লাস করেন। যাঁরা মেসে থাকেন, তাঁদেরও মাসে খরচ ৮-১০ হাজার। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এ সময়ে ছাত্রাবাসে থাকলে সেটি কমে আসবে। এ আশাতেই ছাত্রাবাস খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম জেলা সহসমন্বয়ক ফাহিম হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রাবাস বন্ধ। শিক্ষার্থীরা কয়েক দফা অধ্যক্ষের কক্ষের বাইরে আন্দোলন করলে অবশেষে বৈধ তালিকা প্রকাশ করেছে প্রশাসন। আসন বরাদ্দ পেয়ে শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বসিত।