ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বড় অংশজুড়ে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে এতে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরে মিয়ানমারের মাওলাইকে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬।
ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্যানুযায়ী, মিয়ানমারের স্থানীয় সময় আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৩ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। এর কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের ১১০ কিলোমিটার গভীরে।
এর আগেও বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমারের এ জায়গায় শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। এত দূরের ভূমিকম্প বাংলাদেশেও অনুভূত হওয়ার কারণ সম্পর্কে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ভূমিকম্পবিশেষজ্ঞ মেহেদি আনসারি প্রথম আলোকে বলেন, এই ভূমিকম্প সৃষ্টির কেন্দ্র ভূপৃষ্ঠের অনেক গভীরে। সে কারণে ৪০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরেও এটা অনুভূত হয়েছে। অবশ্য চট্টগ্রাম থেকে এর দূরত্ব ২২০ কিলোমিটার। এ কারণে ঢাকার চেয়ে চট্টগ্রামে ভূমিকম্প বেশি অনুভূত হয়েছে।
সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগর ও আশপাশের বিভিন্ন উপজেলায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এতে সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। উঁচু ভবনের অনেকেই সড়কে নেমে পড়েন। রাস্তায় জড়ো হয়ে ভূমিকম্প থামার অপেক্ষা করেন। অনেকেই ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হওয়ার কথা তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন।
নগরের বহদ্দারহাট এলাকার বাসিন্দা নাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ভূমিকম্প টের পাওয়ার পর চারতলা থেকে নিচে নেমে যাই। আশপাশের অনেক ভবন থেকে রাস্তায় মানুষ নেমে এসেছিল। পাশে বাজার থেকেও দোকানিরা ভয়ে বের হয়ে এসেছিল।’
ভূমিকম্পে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও চট্টগ্রাম নগরীতে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে জানানো হয়, ভূমিকম্পে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ভূমিকম্পে সিলেটেও অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সিলেট নগরের নয়াসড়ক এলাকার বাসিন্দা মনসুর উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বাসা তৃতীয় তলায়। ঘরে তিনি ও তাঁর স্ত্রী ছিলেন। ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর তাঁরা নিচে নেমে যান।