পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও তাদের জলসায় বাধা দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন। সংস্থাটি মনে করে, সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও ভিন্নমতের মানুষের ওপর হামলার ঘটনা ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতা ও ঘৃণা-বিদ্বেষেরই বহিঃপ্রকাশ।
আজ সোমবার পাঠানো এক বিবৃতিতে আর্টিকেল নাইনটিন এ উদ্বেগের কথা জানায়।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটি সরকারের প্রতি আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলাকারীদের শাস্তিরও দাবি জানিয়েছে। ওই ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো অবহেলা আছে কি না, তা স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
সব সম্প্রদায়ের মানুষ যেন নির্ভয়ে ও বিনা বাধায় ধর্ম পালন করতে পারে, সে জন্য জাতিসংঘের সব ধর্ম ও বিশ্বাসের নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত একটি সহনশীল পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে আর্টিকেল নাইনটিন।
রাষ্ট্রের পাশাপাশি ধর্মীয় সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের মানুষেরও সহনশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ নিশ্চিত করায় ব্যাপক ভূমিকা আছে বলে মনে করেন ফারুখ ফয়সল। বলেন, পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর হামলা মদিনা সনদের পরিপন্থী।
বিবৃতিতে সংস্থার দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্র প্রত্যেক নাগরিকের যেকোনো ধর্ম অনুসরণ, পালন বা প্রচারের অধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি ধর্মীয় সম্প্রদায় ও উপসম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপন, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার অধিকার দিয়েছে। এ অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
রাষ্ট্রের পাশাপাশি ধর্মীয় সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের মানুষেরও সহনশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ নিশ্চিত করায় ব্যাপক ভূমিকা আছে বলে মনে করেন ফারুখ ফয়সল। তিনি বলেন, পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর হামলা মদিনা সনদের পরিপন্থী।
পঞ্চগড়ের আহম্মদনগরে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ‘সালানা জলসার’ পূর্বঘোষিত কর্মসূচি বাতিলের দাবিতে ৩ মার্চ বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে দুজন নিহত এবং সাত পুলিশ সদস্যসহ প্রায় অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। সংঘর্ষের একপর্যায়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বেশ কিছু বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালানো হয়।