নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) অ্যারোসল রিসার্চ ল্যাব বাংলাদেশে জাইকার প্রধান কার্যালয়ে একটি আলোচনা সভায় অংশ নেয়। এ সময় বায়ুদূষণ মোকাবিলায় দুই পক্ষই তাদের প্রচেষ্টা ও অঙ্গীকার তুলে ধরেছে। গত সোমবার এ আলোচন সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জাইকার প্রতিনিধি মুরাকামি শিন ঢাকা ও চট্টগ্রামে বায়ুদূষণ মোকাবিলায় তাঁদের সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন। এ সময় উভয় পক্ষই বাংলাদেশ সরকারের প্রয়োজনীয় নীতি অনুযায়ী সংকট নিরসনে করণীয় দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এনএসইউর পরিবেশবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. ফিরোজ খান বায়ু বিশুদ্ধকরণের মূল কৌশল উপস্থাপন করেন। তিনি ২০২২ সালে বাংলাদেশের বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালার তাৎপর্য তুলে ধরে দূষণের কেন্দ্রগুলোয় কঠোর নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
শহর অঞ্চলে ইনডোর আর্কিটেকচারের বৈষম্যের কথা উল্লেখ করেন ফিরোজ খান। তিনি শক্ত কাঠ, গোবর, কাঠকয়লা ও কয়লা ব্যবহারের বিপদের ওপর জোর দিয়ে গ্রামীণ অঞ্চলে ঐতিহ্যবাহী অভ্যন্তরীণ নকশা এবং নিরাপদ রান্নার চুলা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
জাপানে জাইকার সদর দপ্তর বাংলাদেশের বায়ুর গুণগত মান উন্নয়নে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারা পরিবেশ অধিদপ্তরকে (ডিওই) সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে, যা প্রাথমিক বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।