পুড়ে যাওয়া বন ধোঁয়ায় আচ্ছাদিত হয়ে আছে । চারপাশে তীব্র তাপ। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে আমোরবুনিয়ার লতিফের ছিলা এলাকায় তোলা
পুড়ে যাওয়া বন ধোঁয়ায় আচ্ছাদিত হয়ে আছে । চারপাশে তীব্র তাপ। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে আমোরবুনিয়ার লতিফের ছিলা এলাকায় তোলা

সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত দাবি ১১ বিশিষ্ট নাগরিকের

বাগেরহাটে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমোরবুনিয়া এলাকায় আগুন লাগার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের ১১ জন বিশিষ্ট নাগরিক। একই সঙ্গে আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধান ও দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।

আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব দাবি জানান ১১ বিশিষ্ট নাগরিক। বিবৃতিটি পাঠান পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক নাগরিক সংগঠন ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’ (ধরা)-এর সদস্যসচিব শরীফ জামিল।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কী কারণে সুন্দরবনের গভীরে বারবার অগ্নিকাণ্ড হচ্ছে, তা স্পষ্টভাবে এখন পর্যন্ত জানাতে পারেনি বন কর্তৃপক্ষ। এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। তদন্তের মাধ্যমে এর কারণ অনুসন্ধান এবং মানবসৃষ্ট প্রতীয়মান হলে দায়ীদের চিহ্নিত করতে হবে।’

গত শনিবার সুন্দরবনের আমোরবুনিয়া এলাকায় আগুনের খবর পাওয়া যায়। বিবৃতিতে ১১ বিশিষ্ট নাগরিক বলেন, ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও প্রশাসনের সমন্বিত প্রচেষ্টায় তিন দিন পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এর মধ্যে সুন্দরবনের ওই এলাকার যৌগিক বাস্তুতন্ত্র, বন্য প্রাণী ও বনজ সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৪ বছরে সুন্দরবনে ২৬ বার আগুন লেগেছে। এতে সরকারি হিসাবে প্রায় ৭৫ একর বনভূমি ধ্বংস হয়েছে। ২৪টি তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বনজীবীদের অসাবধানতার কারণে ১৫ বার আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। সুন্দরবনের জমি দখল ও প্রাণবিনাশী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে এই অগ্নিকাণ্ডের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, তা–ও খতিয়ে দেখা দরকার।

যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সুলতানা কামাল, রাশেদা কে চৌধুরী, খুশি কবীর, মুজিবুর রহমান হাওলাদার, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ড. ইফতেখারুজ্জামান, শারমিন মুরশিদ, এম এস সিদ্দিকী, অধ্যাপক আকতার মাহমুদ, অধ্যাপক আদিল মোহাম্মদ খান ও শরীফ জামিল।