চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক বন্ধ করে তল্লাশি চালিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও পুলিশ। এ সময় আন্দোলনকারী তিনজন শিক্ষার্থীকে ধরে এনে প্রক্টরিয়াল বডির হাতে তুলে দেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। পরে মুচলেকা নিয়ে দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর বাকি একজনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
মঙ্গলবার রাত আটটা থেকে এ তল্লাশি শুরু হয়। এ সময় মূল ফটক বন্ধ করে প্রক্টরিয়াল বডির দুই সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করা ব্যক্তিদের নাম, পরিচয়সহ বিভিন্ন তথ্য নেন। রাত ১১টা পর্যন্ত এ তল্লাশি চলে।
এর মধ্যে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা তিনজন আন্দোলকারীকে ধরে প্রক্টরিয়াল বডির হাতে তুলে দেন। পরে রাত সাড়ে ১১টায় তাদের মধ্যে দুজনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর বাকি একজনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে প্রক্টরিয়াল বডি। ওই শিক্ষার্থীর নাম মোহাম্মদ রাসেল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ওই তিন ছাত্রের ফেসবুক আইডি ও মুঠোফোন চেক করেন।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও ভার্সিটি এক্সপ্রেস উপপক্ষের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আক্রমণ করতে পারে এমন আশঙ্কায় তাঁরা জিরো পয়েন্টে জড়ো হন। এ সময় সন্দেহভাজন তিনজনকে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে দিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের কাছে দেশীয় অস্ত্র ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ অহিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, বহিরাগতরা আক্রমণ করতে পারে এমন অভিযোগ করেছিলেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। তাই তাঁরা তল্লাশি করেছেন। যাঁদের কাছে আইডি কার্ড পাওয়া গেছে তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে।
ওই তিন শিক্ষার্থীর বিষয়ে প্রক্টর বলেন, তাঁরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বলে জানতে পেরেছেন। তাদের একজনের ফেসবুকে বিভিন্ন গুজব রটানোর তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ব্যাগের ভেতরে রডসহ কিছু দেশীয় অস্ত্র পাওয়া গেছে। এ কারণে তাঁকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আন্দোলনের মধ্যেই অনির্দিষ্টকালের জন্য শাটল ট্রেন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ অহিদুল আলম। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ এই ট্রেনে নগরে যাতায়াত করতেন। গত সোমবার ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা ট্রেনের ইঞ্জিনের চাবি নিয়ে যাওয়ার পর মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেন প্রক্টর।