বাংলাদেশের প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দলকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর চিঠির প্রসঙ্গে গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নকারী বলেন, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধীদের মধ্যে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। কিন্তু বিরোধী দলের অধিকাংশ নেতা কারাগারে থাকায় কীভাবে সংলাপ হবে? আর তিনি (প্রশ্নকারী) বিষয়টি ভেবে অবাক হচ্ছেন যে সরকারের দমন–পীড়নের মধ্যে বিরোধী দলের কে এই চিঠি গ্রহণ করলেন? এ ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের মন্তব্য কী? এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে সংলাপ সম্ভব?
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে তাঁকে টানার চেষ্টা করছেন সাংবাদিকেরা। বিষয়টিকে তিনি স্বাগত জানান। তবে তিনি তা করা থেকে বিরত থাকবেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেবে না। যুক্তরাষ্ট্র এক দলের চেয়ে অন্য দলকে প্রাধান্য দেয় না। যুক্তরাষ্ট্র অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সমর্থন করে।
ব্রিফিংয়ে আরেক প্রশ্নে বলা হয়, ভারতের নয়াদিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের মধ্যকার (টু প্লাস টু) বৈঠকে, বিশেষ করে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে মুখপাত্র কোনো ধারণা দিতে পারেন কি না? ভারত ও বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে দুই দেশের বৈঠকে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে একটি ভালো আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের বিষয়টি নিয়ে ভারত ও চীন বিবৃতি দিয়েছে। তারা একে ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে অভিহিত করেছে। এ নিয়ে মুখপাত্র কোনো ধারণা দিতে পারেন কি না?
জবাবে মিলার বলেন, বৈঠক নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, ভারতে অবস্থানকালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন যা বলেছেন, এর বাইরে তিনি সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে পারছেন না।