বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের লোগো
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের লোগো

তেল শোধনাগার প্রকল্প থেকে বাদ গেল এস আলম

জ্বালানি তেলের পরিশোধন সক্ষমতা বাড়াতে নেওয়া শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এস আলম গ্রুপকে। ইআরএল-২ নামের এ প্রকল্পটিতে গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্ত হয়েছিল এস আলম।

আজ বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এটি জানানো হয়েছে।

ইআরএল-২ নামের এ প্রকল্পটি সরকারি ও বেসরকারি খাতের অংশীদারত্বমূলক উদ্যোগের (পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ) ভিত্তিতে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ও এস আলম মিলে এটি বাস্তবায়নে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইআরএল এবং এস আলম গ্রুপের মধ্যে ‘ইনস্টলেশন অব ইআরএল ইউনিট-২’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন প্রস্তাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রকল্পটির বৈদেশিক মুদ্রার হালনাগাদ দর অনুযায়ী প্রাক্কলন এবং সব ক্রয় পরিকল্পনা পিপিআর-২০০৮ অনুযায়ী প্রণয়ন করে পরিকল্পনা কমিশনে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) পাঠাতে বিপিসিকে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

দেশের একমাত্র জ্বালানি পরিশোধনাগারটি চট্টগ্রামে তৈরি হয় ১৯৬৮ সালে। এর সক্ষমতা বছরে ১৫ লাখ টন। এটি পরিচালনা করে জ্বালানি বিভাগের অধীনে থাকা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)। নতুন প্রকল্পে ৩০ লাখ টন সক্ষমতার আরেকটি ইউনিট করার কথা। ‘ইনস্টলেশন অব ইআরএল-২’ নামের প্রকল্পটি নেওয়া হয় ২০১২ সালে। এটি করা গেলে বছরে প্রায় ২৪ কোটি ডলার সাশ্রয় হওয়ার কথা। অর্থায়ন জটিলতায় ১২ বছর ধরে ঝুলে আছে প্রকল্পটি। হঠাৎ করে গত ফেব্রুয়ারিতে এ প্রকল্পে যুক্ত হয় এস আলম।