উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত অবস্থায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ৩১১ জন প্রশিক্ষণ শেষে পদায়নের জন্য পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছিলেন। এসব আবেদন অবিলম্বে নিষ্পত্তি করতে আইজিপিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
এর আগে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে রাজশাহীর চারঘাটে সারদা পুলিশ একাডেমিতে চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণরত তিন শতাধিক উপপরিদর্শককে (এসআই) বিভিন্ন সময়ে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ অবস্থায় চাকরি ফিরে পেতে ৫ ডিসেম্বর পৃথক পাঁচটি রিট করেন অব্যাহতিপ্রাপ্ত ৩১১ জন।
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিপন কুমার বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শামীমা সুলতানা দিপ্তি।
রিট আবেদনকারীরা সবাই ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) প্রবেশনারস ব্যাচের জানিয়ে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, ৩১৩ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়, যাঁদের মধ্যে ৩১১ জন পৃথক পাঁচটি রিট করেন। তুচ্ছ কারণ ধরে বিশৃঙ্খলার দিক উল্লেখ করে তাঁদের ক্ষেত্রে অসদাচরণের অভিযোগ আনা হয়। অসদাচরণের অভিযোগ আনা হলে তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। এই সুযোগ না দিয়েই তাঁদের চূড়ান্তভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যেটি আইন বিধি সমর্থন করে না। যে কারণে রিটটি করা হলে আদালত রুলসহ ওই আদেশ দেন।
প্রশিক্ষণরত অবস্থায় বিধিবহির্ভূতভাবে তাঁদের (৩১১ জন) অব্যাহতি দেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং প্রশিক্ষণ শেষে তাঁদের এসআই হিসেবে পদায়ন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানান রিট আবেদনকারীদের এই আইনজীবী। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও একাডেমির অধ্যক্ষসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।