বিমানে পাইলট নিয়োগে ওঠা অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চুক্তিভিত্তিক পাইলট নিয়োগে ওঠা অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে কমিটি করে দিয়ে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক–আল–জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার রুলসহ এ আদেশ দেন।

‘বিমানে অযোগ্য পাইলট নিয়োগ’ বিষয়ে গত ১ মার্চ দ্য ডেইলি স্টারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ গত মে মাসে ওই রিট করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

পরে আইনজীবী তানভীর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিবেদনের ১৪ জনের নিয়োগ সম্পর্কে বলা হয়েছে। নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। কমিটিতে বিমান মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব, সিভিল অ্যাভিয়েশনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিমান বাংলাদেশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থাকবেন। অভিযোগ তদন্ত করে কমিটিকে এক মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

ডেইলি স্টারে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজ উড্ডয়নের জন্য চুক্তিভিত্তিক পাইলটদের একটি ব্যাচ নিয়োগ দিয়েছিল। নিয়োগের সময় বিমান দাবি করেছিল যে তাদের পাইলট সংকট থাকায় অবিলম্বে এই নিয়োগ দিতে হবে। এর এক বছর পরে নিয়োগ করা ১৪ জন পাইলটের মধ্যে মাত্র ৫ জন উড়োজাহাজ উড্ডয়ন করেছেন। বাকিরা আটকে আছেন জাল সনদ, অযোগ্যতা ও লাইসেন্সিং পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে। বিমান তাঁদের দিয়েছে মোটা অঙ্কের বেতন, সেই সঙ্গে প্রশিক্ষণের জন্য খরচ করেছে বিপুল অর্থ, যার সবই গেছে জলে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএবি) সরকারি চিঠিতে এটিকে ‘নিরাপত্তা উদ্বেগ’ হিসেবে অভিহিত করেছে, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে বিমানকে তদন্ত করতে বলেছে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারির বিমানের একটি নথি অনুযায়ী, নিয়োগ পাওয়া ১৪ জনের মধ্যে মাত্র ৪ জন ক্যাপ্টেন এবং ১ জন ফার্স্ট অফিসার উড়োজাহাজটি ওড়ানোর সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।