সম্প্রতি দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের আবাসিক হলে থাকার বিষয়ে বৈষম্যমূলক নির্দেশ জারির প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের যৌন ও প্রজননস্বাস্থ্যবিষয়ক সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন (সিএসও) ফোরাম। অবিলম্বে এমন নির্দেশনা প্রত্যাহার ও নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট ধারা বাতিলের দাবি জানিয়েছে এ ফোরাম।
১৯টি সংগঠন ও সংস্থার জোট সিএসও ফোরাম গতকাল বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে বিশেষ করে নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য নিরসন সনদে (সিডও) শিক্ষাঙ্গনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর প্রতি বৈষম্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেখানে আবাসিক হলে ছাত্রীদের বসবাসের ক্ষেত্রে এমন বৈষম্যমূলক বিধান ও তার প্রয়োগ খুবই উদ্বেগজনক ও নিন্দনীয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই বৈষম্যমূলক বিধিমালা বাংলাদেশ সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এটি বাংলাদেশের জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা, নিরাপদ মাতৃত্ব ঘোষণাপত্রসহ নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষায় সরকারের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সব অঙ্গীকারের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।
বিজ্ঞপ্তিতে বিবাহিত বা অন্তঃসত্ত্বা শিক্ষার্থীদের প্রতি সব ধরনের বৈষম্য বাদ দিয়ে সংশোধিত বিধিমালা প্রণয়নের জোর দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে প্রত্যেক অন্তঃসত্ত্বা শিক্ষার্থী আবাসিক হলে থাকার সময়ে যেন প্রসূতিকালীন প্রয়োজনীয় সব সেবা তাৎক্ষণিকভাবে পেতে পারেন, তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিশেষ আহ্বান জানানো হয়।
উল্লেখ্য, সিএসও ফোরামে থাকা সংগঠনগুলো হলো বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, আইপাস বাংলাদেশ, আইসিডিডিআরবি, নারী মৈত্রী, ব্র্যাক, মেরী স্টোপস বাংলাদেশ, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ মিডওয়াইফারি সোসাইটি, জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অফ পাবলিক হেলথ, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, সিরাক-বাংলাদেশ, ফ্যামিলি প্ল্যানিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ওজিএসবি, নারীপক্ষ, ব্লাস্ট, বাপসা, আরএইচস্টেপ, বাংলাদেশ উইমেন্স হেলথ কোয়ালিশন, আরটিএম ইন্টারন্যাশনাল ও কেয়ার বাংলাদেশ।