কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও বিস্ফোরক অধিদপ্তরের মতো সরকারি প্রতিষ্ঠান সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হওয়ায় বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে বলে মন্তব্য করেছেন শ্রমিকনেতারা। সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন লিমিটেড প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে ছয়জন নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে আজ রোববার বিকেলে প্রেসক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা এ কথা বলেন।
চট্টগ্রাম যুব ট্রেড ইউনিয়ন নেটওয়ার্ক নামের একটি সংগঠন এই প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করে। শ্রমিকনেতা হাসিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং মো. জাবেদ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এবং বিলসের সমন্বয়ক এ এম নাজিম উদ্দিন, ইপসার মোহাম্মদ আলী, ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের সোহেলুদ্দোজা সোহেল, ফজলুল কবির, উজ্জ্বল বিশ্বাস প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রতিটি দুর্ঘটনার পর দু–এক দিন তৎপরতা দেখা গেলেও অল্প কিছুদিনের মধ্যে তা চাপা পড়ে যায়। দুর্ঘটনার জন্য প্রকৃত দায়ী কারা, তা কখনোই চিহ্নিত করা হয় না। বছরের পর বছর এভাবে অনিরাপদ কর্মপরিবেশে কাজ করতে পারে না। কলকারখানা ও বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে কর্মরত শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব মালিকের। আর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য মালিকের পক্ষ থেকে যথাযথ উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে কি না, তা রাষ্ট্রের।
শ্রমিকনেতারা কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানান।
সভায় বক্তারা আইএলও কনভেনশন ১২১ অনুসারে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে প্রত্যেক শ্রমিকের আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ প্রদান, আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসা এবং ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার দাবি জানান।