চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম পাঁচ দিনেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল রোববার সকাল আটটা থেকে আজ সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত তিনজন মারা গেছে। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেল ২৬ জন। সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, চলতি জানুয়ারি মাস থেকে গতকাল পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১১ জন ডেঙ্গু রোগী মারা গেছে। দেশে এ বছর সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে কক্সবাজার জেলাতে। এই জেলার ১৪ জন ডেঙ্গুতে মারা গেছে। আর একজন মারা গেছে বরিশালে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ২০৮ জন ডেঙ্গু রোগী দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীর সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছে ১৫৭ জন। বাকিরা ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
জানুয়ারি মাস থেকেই ডেঙ্গুতে আক্রান্তের তথ্য দিয়ে চলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম। জানুয়ারি থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭ হাজার ১১৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। এর মধ্যে গত মাসেই সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছে, ৩ হাজার ৫২১ জন। আর চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম পাঁচ দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ৯৩২ জন।
ডেঙ্গুর জীবাণু মানুষের শরীরে আসে এডিস মশার মাধ্যমে। বর্ষায় বাসাবাড়িতে পানি জমে এই মশার বংশবিস্তার বেশি ঘটে। ২০০০ সালে বাংলাদেশে প্রথম ডেঙ্গুর বড় ধরনের প্রকোপ দেখা দেয়। মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পরের বছরগুলোতে এর প্রকোপ খুব বেশি না হলেও ২০১৯ সালে তা ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ে। ওই বছর দেশে ডেঙ্গুতে দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু এবং লক্ষাধিক মানুষ এতে আক্রান্ত হয়।