নোয়াখালীতে প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে বন্যাদুর্গত মানুষের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। গতকাল সেনবাগ উপজেলার কাদরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে
নোয়াখালীতে প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে বন্যাদুর্গত মানুষের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। গতকাল সেনবাগ উপজেলার কাদরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে

প্রথম আলো ট্রাস্টের ত্রাণ বিতরণ

রান্না করা খাবার পেলেন বন্যার্ত ১১০০ মানুষ

বাড়িতে ঢুকেছে বন্যার পানি। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন মো. সোলেমান। এর মধ্যে শুকনা খাবারের পাশাপাশি দুই–একবার খিচুড়ি পেয়েছেন। তবে গতকাল সোমবারই প্রথম খেলেন রান্না করা ভাত, ডাল, সবজি ও মাংস। খেয়ে সত্তরোর্ধ্ব এই ব্যক্তি বললেন, ‘বহুদিন পর খেয়ে তৃপ্তি পেলাম।’

সোলেমানের বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায়। প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে গতকাল সেনবাগের তিনটি আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যার্ত ১ হাজার ১০০ মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। গতকাল এ খাবার বিতরণ করা হয় বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের সহায়তায়।

বন্যার্তদের জন্য সেনবাগের ডুমুরুয়া ইউনিয়নের পদুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানেই গতকাল সোলেমানের মতো বন্যার্ত ৫০০ মানুষের হাতে রান্না করা খাবার তুলে দেওয়া হয়।

একই উপজেলার কাদরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এর অদূরে একটি নূরানি মাদ্রাসায় বন্যার্তদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। গতকাল এই দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যার্ত ৬০০ মানুষকে রান্না করা খাবার দেওয়া হয় প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে।

কাদরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে প্রথম আলো ট্রাস্টের দেওয়া রান্না করা ভাত, মাংস, সবজি ও ডাল খেয়ে রিকশাচালক মো. হারুন (৫৬) বলেন, ‘আজকের খাবারগুলো খেয়ে অনেক তৃপ্তি পেলাম। এই খাবারের কথা বহুদিন মনে থাকবে।’

বন্যার পর প্রথমবারের মতো রান্না করা খাবার খেয়ে তৃপ্তি মিটল বলে জানান একই আশ্রয়কেন্দ্রের আমেনা বেগম। খাবার খেয়ে তিনি বলেন, ‘এমন তৃপ্তির খাওয়া অনেক দিন খেতে পারিনি। খাবার খেয়ে অনেক তৃপ্তি পেয়েছি। আপনারা আমাদের মতো গরিব-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আল্লাহ আপনাদের ভালো করবে।’