দেশের সব পোশাকশিল্প কারখানার শ্রমিকদের বিদ্যমান হাজিরা বোনাস, টিফিন ও রাত্রিকালীন ভাতা বৃদ্ধিসহ শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছে মালিক ও শ্রমিক পক্ষ। এ পরিস্থিতিতে পোশাকশিল্প কারখানা নিয়ে আর কোনো বিশৃঙ্খলা বরদাশত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের চার উপদেষ্টা, তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নেতা, পোশাক কারখানার মালিক এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের উপস্থিতিতে দাবি বাস্তবায়নে সম্মত হওয়ার বিষয়ে যৌথ ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষণাটি পড়ে শোনান শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র, শিল্প এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আহ্বান, দেশের শিল্পকে বাঁচানোর জন্য, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য, অনেক রক্তের বিনিময়ে যে নতুন বাংলাদেশ অর্জন করা হয়েছে, তাকে সমুন্নত রাখার জন্য এবং এ বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য শ্রমিকেরা নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে যাবেন।
আগামীকাল বুধবার থেকে সব পোশাক কারখানা সচল থাকবে বলে আশা প্রকাশ করে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, আগামীকাল থেকে প্রতিটি কারখানার কার্যক্রম যাতে চলমান থাকে, শিল্প যাতে হাতছাড়া না হয়, সে জন্য শ্রমিক, মালিক, সরকার—সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।
সরকার আর কোনো বিশৃঙ্খলা বরদাশত করবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, দাবি মেনে নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আগামীকাল থেকে যদি কোনো পক্ষ কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করে, কোনো মালিক পক্ষ থেকে বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে অনাগ্রহ প্রকাশ করে, তাদের সদিচ্ছার অভাব থাকে এবং শ্রমিক পক্ষের দিক থেকেও যদি বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করা হয়, তাহলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মালিকদের পক্ষে বিজিএমইএর সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকসহ সবার প্রতি আহ্বান থাকবে কারখানায় বসেই যেন আলোচনা করেন। কোথাও যেন রাস্তা বন্ধ না হয়, ভাঙচুর না হয়। এ সময় ইন্ডাস্ট্রি অল বাংলাদেশ কাউন্সিলের সাবেক মহাসচিব কুতুব উদ্দিন আহমেদ শ্রমিকদের যাঁর যাঁর কর্মে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান।