আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

স্বতন্ত্রদের অবস্থান দেখে পরিষ্কার হবে বিরোধী দল কারা হবে: আইনমন্ত্রী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দল কারা হবে, তা বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অবস্থান দেখে পরিষ্কার হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

গত রোববার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। এখন পর্যন্ত ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২২২টি আসনে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদের একজন করে দুজন জয়ী হয়েছেন। তাঁরা আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে ভোট করেন। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের পর এবার সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে সংসদের বর্তমান প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা)। দলটি মাত্র ১১টি আসন পেয়েছে। আর ৬২টি আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাঁদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীরা কাল বুধবার সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন। কিন্তু এবারের সংসদের বিরোধী দল কারা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, স্বতন্ত্র যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁরা তাঁদের অবস্থান কীভাবে রাখবেন, তা ঠিক হওয়ার পরই বিরোধী দল কারা হবে, সেটি দেখা যাবে। এ জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তাঁরা (স্বতন্ত্র) কতজন কোথায় থাকতে যাচ্ছেন, কতজন স্বতন্ত্র থাকতে যাচ্ছেন—এই বিষয়গুলো যখন পরিষ্কার হবে, তখনই বোঝা যাবে, কারা বিরোধী দল হবে।

কাল নতুন সংসদ সদস্যদের শপথের পর স্বতন্ত্র সদস্যদের অবস্থান কী হবে, সেটি তাঁরা (স্বতন্ত্র) জানাবেন বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী।

আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, তাঁরা (স্বতন্ত্র) আওয়ামী লীগের। কিন্তু যখন তাঁরা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, তখন তাঁরা কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হননি। তাঁরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁদের প্রতীকও ছিল ভিন্ন। নৌকা প্রতীকে যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন, শুধু তাঁরাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী। সে ক্ষেত্রে তাঁরা (স্বতন্ত্র) আওয়ামী লীগের, এটা মুখের কথা হতে পারে; কিন্তু আইনের কথা, বাস্তবতার কথা তা নয়। তাঁরা স্বতন্ত্র হিসেবে জয়ী হয়েছেন। তাঁরা যদি মনে করেন, স্বতন্ত্র হিসেবেই থাকবেন, তখন দেখা হবে, কতজন স্বতন্ত্র হিসেবে থাকলেন। যদি দেখা যায়, তাঁরা একটি মোর্চা করবেন, তখন বিরোধী দল কারা হবে, সেটি পরিষ্কার হবে।

এক সাংবাদিক আইনমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, সাংবাদিকসহ বিদেশি পর্যবেক্ষক যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের মন্তব্য ছিল, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র মন্তব্য করেছে, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি।

এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, তাঁরা সব সময় বলে আসছেন, নির্বাচন তখনই সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়, যখন জনগণ ভোট দেন। সবাই দেখেছেন, এই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিয়েছেন। জনগণ এই নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। সে জন্য তাঁরা বলবেন, এই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়েছে, যেটি জনগণ স্বীকৃতি দিয়েছেন। এর ওপর কারও স্বীকৃতির প্রয়োজন আছে বলে তাঁর মনে হয় না।