জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, পানি ছাড়া নিয়ে উজান-ভাটির দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
আজ রোববার মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘ক্ষমতায়ন: জলবায়ু সহিষ্ণু সমাজের জন্য নারী (ফেজ ২)’ প্রকল্পের ‘অ্যানুয়াল কমিউনিটি অব প্র্যাকটিস (কপ) নেটওয়ার্ক কনভেনশন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রয়োজন। উজানের দেশগুলোকে আগে থেকে বৃষ্টিপাত, স্ট্রাকচারের অবস্থা ও পানি ছাড়ার সময় জানাতে হবে। উজান-ভাটির দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
পানি উপদেষ্টা আরও বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে খাদ্যসংকট এড়াতে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জিরো কার্বন নির্গমন ও লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড থেকে অর্থ আনতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নারীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন উল্লেখ করে অভিযোজনের জাতীয় পরিকল্পনায় নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে সুইডেন দূতাবাসের হেড অব ডেভেলপমেন্ট কো–অপারেশন মারিয়া স্ট্রিডসম্যান ও ইউএন উইমেনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ গীতাঞ্জলী সিং।
অনুষ্ঠানে ‘উইমেন্স ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্ক’ ঘোষণা করা হয় এবং পাঁচ নারী উদ্যোক্তাকে ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় নারীর ভূমিকা শীর্ষক পদক, ২০২৪’ দেওয়া হয়।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন ও প্রশমন প্রচেষ্টায় নারীদের অংশগ্রহণ এবং নেতৃত্ব বাড়ানোর কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু সহনশীলতা ও লিঙ্গ সমতার ওপর বিভিন্ন প্যানেল আলোচনা, কর্মশালা ও উপস্থাপনা অনুষ্ঠিত হয়।