গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় করা পৃথক ১০ মামলায় জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে রিট করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করার পর বিকেলে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে জমা দেওয়া হয়। আগামী রোববার রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
বৃহস্পতিবার মধ্যাহ্নবিরতির পর মির্জা ফখরুলের পক্ষে রিটটি করার জন্য একই বেঞ্চ থেকে অনুমতি নেন তাঁর আইনজীবীরা। এ সময় মির্জা ফখরুলের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
অনুমতি নেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করা হয়। এরপর বিকেলে একই বেঞ্চে তা জমা দেন মির্জা ফখরুলের আইনজীবী।
রিটে দেখা যায়, ১০টির মধ্যে পল্টন থানার ৭টি এবং রমনা থানার ৩টি মামলার কথা উল্লেখ রয়েছে। মামলাগুলো ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে বিচারাধীন।
পরে মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সগীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সিএমএম আদালতে বিচারাধীন ১০টি মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন করা হয়, যা ১২ ডিসেম্বর আদালত গ্রহণ করেননি। এ অবস্থায় জামিন আবেদনগুলো গ্রহণ করে নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়েছে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় প্রথম আলোকে বলেন, রিটটি আগামী রোববার আদালতের কার্যতালিকায় আসবে।