তুলা উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছেও নেই

দেশের বস্ত্র কারখানার চাহিদার তুলনায় ৫০ বছর পরও তুলা উৎপাদিত হয় মাত্র ৩–৪ শতাংশ। তুলা উৎপাদনে প্রত্যাশিত কাজ করতে পারছে না বোর্ড। উৎপাদন বাড়াতে কার্যকর গবেষণা নেই।

চাষিরা এক বছর তুলা চাষ করলে পরের বছর আর করতে চান না

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের বারবাকপুর গ্রামের মো. ইজ্জত আলী গত বছর দেড় বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছিলেন। বৃষ্টির কারণে ফলন ভালো হয়নি। সব মিলিয়ে ৬৫ হাজার টাকার তুলা বিক্রি করেছিলেন। জমির ইজারা ও চাষাবাদের খরচ দিয়ে তাঁর খুব একটা লাভ হয়নি। তাই এবার এক বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেন।

ইজ্জত আলী প্রথম আলোকে বলেন, এক বিঘা জমিতে কপি চাষ করলে তিন মাসে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা বিক্রি হয়। কপি তুলে ইরি ধান করা যায়। আর তুলা চাষে সময় লেগে যায় ছয়–সাত মাস। ইরিও চাষ করা যায় না, লাভও কম। তাই চাষিরা এক বছর তুলা চাষ করলে পরের বছর আর করতে চান না।

জানা যায়, দেশে বছরে ৭৫ থেকে ৮০ লাখ বেল আঁশতুলার চাহিদা। সেখানে বোর্ড প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পরও উৎপাদন হয় চাহিদার মাত্র ৩ থেকে ৪ শতাংশ। ২০১৭–১৮ অর্থবছরে ৪৩ হাজার হেক্টর জমিতে ১ লাখ ৬৫ হাজার বেল আঁশতুলা উৎপাদিত হয়। পাঁচ বছর পর ২০২১–২২ অর্থবছরে প্রায় ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে ১ লাখ ৯৫ হাজার বেল আঁশতুলা উৎপাদন করা হয়। কর্মকর্তারা বলছেন, তুলা চাষ সম্প্রসারণ ও উৎপাদন ধীরগতিতে বাড়ছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, জমিস্বল্পতার কারণে বাংলাদেশে তুলা উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন কখনো সম্ভব নয়। এমনকি চাহিদার অর্ধেক উৎপাদন করাও অসম্ভব। বর্তমান বাস্তবতায় জোর চেষ্টা চালালে চাহিদার সর্বোচ্চ ১০–১৫ শতাংশ তুলা উৎপাদন করা সম্ভব। তবে বোর্ডের ব্যর্থতা, সরকারের সহযোগিতার অভাব, গবেষণায় অবহেলার কারণে এই পরিমাণ তুলাও উৎপাদন করা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. ফজলুল হক প্রথম আলোকে বলেন, দেশে তুলা চাষের জন্য পর্যাপ্ত জমি নেই, আবার জমি তুলার উপযোগীও না। দেশের উৎপাদিত তুলা নিম্নমানের। রপ্তানির উপযোগী নয়। দীর্ঘদিন ধরে সরকার বোর্ডের পেছনে অর্থ খরচ করছে। ভবিষ্যতে এভাবে অর্থের অপচয় করবে কি না, ভেবে দেখা দরকার।

তুলা বোর্ডের প্রতিষ্ঠা

জাতীয়করণ করা ৭৪টি বস্ত্রকল নিয়ে ১৯৭২ সালের ১ জুলাই বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল করপোরেশন (বিটিএমসি) যাত্রা শুরু করে। স্বাধীনতার আগে পশ্চিম পাকিস্তানের তুলা দিয়ে বস্ত্রকল চলত।

স্বাধীনতার পর তুলার অভাবে বস্ত্রকলগুলো বন্ধের উপক্রম হয়। এ অবস্থায় ১৯৭২ সালে দেশে তুলার চাষ বাড়াতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে তুলা উন্নয়ন বোর্ড গঠন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পাঁচ যুগ ধরে বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করছেন, নিয়মিত বেতন-ভাতা নিচ্ছেন। কিন্তু তুলা উৎপাদনে কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের ধারেকাছে যেতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।

তুলায় বাংলাদেশের অবস্থান

দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকশিল্পের সুতার জোগান দিতে প্রচুর তুলা লাগে। বর্তমানে দেশের ৪৫০টি স্পিনিং মিলের চাহিদার মাত্র ৩–৪ শতাংশ অভ্যন্তরীণ উৎপাদন থেকে জোগান দেওয়া যায়।

অ্যাটলাসবিগ ডটকমের মতে, তুলা উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান ৪০তম। তাদের তালিকায় ভারত প্রথম, দ্বিতীয় চীন এবং তারপর যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের অবস্থান। তবে ইনডেক্সমুন্ডি ডটকমের মতে, বাংলাদেশ ৩২তম। শীর্ষে চীন, তারপর ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিল।

তুলা উৎপাদনে শেষের সারিতে থাকলেও আমদানিতে বাংলাদেশ প্রথম সারিতে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্ট্যাটিস্টা ডটকমের তথ্যমতে, ২০২১–২২ অর্থবছরে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি তুলা আমদানি করে চীন। তারপরেই বাংলাদেশ।

তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই ছোট দেশে সব ফসলে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন সম্ভব নয়। তবে এটা ঠিক, তুলা উৎপাদনে এখনো আমরা আত্মতৃপ্তির জায়গায় যেতে পারিনি।’

অবহেলিত গবেষণা

তুলা উন্নয়ন বোর্ডের চারটি প্রধান কাজ। এগুলো হচ্ছে সম্প্রসারণ, গবেষণা, বীজ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ। এর মধ্যে সবচেয়ে অবহেলিত গবেষণা শাখা। অথচ উৎপাদনের সময় কমিয়ে উৎপাদন বাড়ানো না গেলে কৃষকদের তুলা চাষে আগ্রহী করা যাবে না।

জানা যায়, তুলা উন্নয়ন বোর্ডে মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার মোট ২৬টি পদ রয়েছে। কিন্তু কর্মরত আছেন মাত্র ৮–৯ জন। মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার পদ খালি।

কর্মকর্তারা বলছেন, ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে গবেষণা শাখাকে তুলা উন্নয়ন বোর্ডে ন্যস্ত করা হয়। তখন ১০–১১ জন স্থায়ী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ছিলেন। চলতি শতকের প্রথম দশকেই তাঁরা অবসরে চলে যান। তারপর থেকে বোর্ডে স্থায়ী কোনো বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নেই। বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ৮–১০ জন ২০–২৫ ধরে অস্থায়ী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন। তুলা উন্নয়ন বোর্ড কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা চূড়ান্ত হলে সম্প্রতি পাঁচ–ছয়জনকে স্থায়ী করা হয়। এখনো তিন–চারজন স্থায়ী হতে পারেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ‘২৫ বছরের বেশি সময় ধরে একই পদে আছি। কয়েক বছর পর অবসরে যাব। স্থায়ী না হলে কিছুই পাব না। এসব চিন্তায় রাতে ঘুম হয় না। গবেষণা শাখাকে দুর্বল করে রাখা হয়েছে।’

বেতন–ভাতায় ব্যয় ৪২ কোটি

বোর্ডের প্রধান কার্যালয় ছাড়াও ৪টি আঞ্চলিক কার্যালয়, ১৩টি জোনাল কার্যালয়, ১৯৫টি ইউনিট কার্যালয় এবং ৫টি গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও খামার রয়েছে। সর্বশেষ অর্থবছরের তথ্য অনুযায়ী, এসব কার্যালয়ে অনুমোদিত পদ রয়েছে ৮৮০টি। অবশ্য জনবল রয়েছে ৫৩৪। কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বেতন–ভাতা, দেশে–বিদেশে প্রশিক্ষণ প্রভৃতি খাতে ২০২১–২২ অর্থবছরে বোর্ডের পরিচালন (অনুন্নয়ন) ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪২ কোটি টাকা।

এ ছাড়া সম্প্রসারিত তুলা চাষ, এনহেন্সিং ক্যাপাসিটি ইন কটন ভ্যারাইটিস এবং তুলার গবেষণা উন্নয়ন ও প্রযুক্তি হস্তান্তর—এই তিন প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ২৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ

তুলাচাষি সংস্থা বা কমিটিগুলোকে সংগঠিত করে তুলা চাষ সম্প্রসারণ হচ্ছে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের অন্যতম লক্ষ্য। বোর্ডের ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা আছে, ২০২১ সালের মধ্যে এক লাখ হেক্টর জমিতে তুলা চাষ করে ৫ থেকে ৬ লাখ বেল আঁশতুলা উৎপাদন করা হবে। বোর্ড সেই লক্ষ্যের অর্ধেকও বাস্তবায়ন করতে পারেনি।

জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে তুলা চাষ করা হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ৯৫ হাজার বেল আঁশতুলা।

বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক বলেন, তুলার বাজার ওঠানামা করেছে। তাই পরিকল্পনা অনুযায়ী সম্প্রসারণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা যায়নি।

কর্মকর্তারা বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এক লাখ হেক্টর জমিতে তুলা আবাদের নতুন লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। কিন্তু এতসংখ্যক জমি পাওয়া নিয়ে অনিশ্চিয়তা রয়েছে।

সম্প্রসারণ প্রকল্পে তুলা সম্প্রসারণ কম

২০১৪ সালের জুলাইয়ে ১০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘সম্প্রসারিত তুলা চাষ প্রকল্প (ফেস-১)’ অনুমোদিত হয়। এ প্রকল্পের আওতায় চর, নদীর তীর, খরা ও লবণাক্তপ্রবণ এলাকা, পাহাড়ের ঢাল ও মধ্যবর্তী সমতলভূমি, কৃষি বনায়ন এবং তামাকের পরিবর্তে তুলা চাষ সম্প্রসারণের কথা ছিল। তুলা চাষকে কৃষকদের মধ্যে জনপ্রিয় করার কথা ছিল। কিন্তু এসব লক্ষ্য বাস্তবায়নে বেশি দূর এগোতে পারেনি বোর্ড।

২০১৩-১৪ অর্থবছরে প্রকল্পের আওতায় ৪১ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে প্রায় ১ লাখ ৪৫ হাজার বেল আঁশতুলা উৎপাদন হয়। এ প্রকল্পের আওতায় ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত তুলা চাষ সম্প্রসারণে অর্থায়ন করা হয়। ওই অর্থবছরে ৪৪ হাজার হেক্টর জমিতে ১ লাখ ৭৬ হাজার বেল আঁশতুলা উৎপাদিত হয়। অর্থাৎ এ সময়ে মাত্র ২ হাজার ৮০২ হেক্টর জমি নতুন করে তুলা চাষের আওতায় এসেছে, উৎপাদন বেড়েছে ৩২ হাজার বেল আঁশতুলা।

প্রকল্পের কাজ ২০১৮ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো চলেছ। একই সঙ্গে ব্যয় বেড়ে হয়েছে ১৪৩ কোটি টাকার বেশি।

তুলা সম্প্রসারণ ও উৎপাদন তেমন না বাড়লেও এ প্রকল্পের আওতায় রাজধানীর খামারবাড়িতে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান কার্যালয় হচ্ছে। দুটি আঞ্চলিক কার্যালয় ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে বিভিন্ন ভবন ও খামারের সীমানাদেয়াল।

প্রকল্প পরিচালক মো. গাজী গোলাম মর্তুজা প্রথম আলোকে বলেন, ‘৫০ বছর পূর্তিতে নিজস্ব প্রধান কার্যালয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করতে পারেনি। এই ভবন নির্মাণের মাধ্যমে আগামী বছর এই প্রকল্প শেষ হবে।’

সেই জমি পাননি কৃষকেরা

তুলা চাষের জন্য ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল ও হরিপুর উপজেলায় ১৯৭৩–৭৪ সালে ৩২৫টি পরিবারের প্রত্যেককে ২ একর ৪৫ শতাংশ করে ৭৯৬ একর জমি দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অধিকাংশ পরিবার এখনো সেই জমি পায়নি। সেসব জমির বড় অংশ বেদখল হয়ে আছে। তাতে এখন নামমাত্র তুলা চাষ হচ্ছে।

১৯৭৭–৭৮ সালের দিকে সরকারের একটি বাহিনী ৭৮টি তুলাচাষি পরিবারকে উচ্ছেদ করে জমি অধিগ্রহণ করে। এ ছাড়া স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি আরও জমি দখল করে রেখেছেন।

জানা যায়, ২০০০ সালের দিকে রানীশংকৈলের ২৪৪টি পরিবারের মধ্যে ৭৩টি ও তারপর হরিপুরের ৮১টির মধ্যে একটি পরিবার জমির নিবন্ধন পেয়েছে। উচ্ছেদের শিকার হয়ে অনেকে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন।

জমির নিবন্ধন পাওয়া কৃষক মো. মিয়াজান আলী এবার পাঁচ কাঠা জমিতে তুলা চাষ করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এ বছর মাত্র চার–পাঁচটি পরিবার অল্প কিছু জমিতে তুলা চাষ করেছে।

তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, একাধিক পক্ষ তুলা চাষের জমির বরাদ্দ দাবি করছে। জেলা প্রশাসন বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছে। জমি যার কাছেই থাকুক, তারা তুলা চাষ করুক।

বীজের দামে তারতম্য

তুলা উন্নয়ন বোর্ড উদ্ভাবিত প্রতি কেজি বীজের দাম ২৫ টাকা। আর চীন থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি বীজের দাম ২ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। দেশি জাতের চেয়ে চায়না বীজের ফলন বেশি। এ কারণে কৃষকেরা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বেশি দাম দিয়ে চীনের বীজ কেনে।

কর্মকর্তারা বলছেন, দেশি বীজে হেক্টরপ্রতি ফলন তিন থেকে সাড়ে চার টন তুলা। সিবি হাইব্রিড–১–এ সর্বোচ্চ চার থেকে সাড়ে চার টন ফলন হয়। এই জাতের বীজের দাম প্রতি কেজি ৫০০ টাকা।

অন্যদিকে চীনা বীজের হেক্টরপ্রতি ফলন পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ টন। সুপ্রিম সিডের কনসালট্যান্ট ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. ইব্রাহীম খলিল বলেন, চীনা বীজে ফলন ভালো। তাই কৃষক আস্তে আস্তে এদিকে ঝুঁকছে।

পর্যাপ্ত সহযোগিতা নেই সরকারের

তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও কটন কানেক্ট নামের এক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ অ্যাগ্রোনোমিক অ্যাডভাইজার মো. ফরিদ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের প্রচুর তুলা আমদানি করতে হয়।

দেশে একদমই উৎপাদন না থাকলে আন্তর্জাতিক বাজারে ভূমিকা রাখা কঠিন। তুলা উন্নয়ন বোর্ডের বীজ না থাকলে বিদেশি বীজও নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। তাই সরকারি–বেসরকারি দুটিই থাকা দরকার, এতে প্রতিযোগিতা হয়।

ফরিদ উদ্দিন বলেন, এটিও ঠিক, দেশে ব্যাপক তুলা উৎপাদন সম্ভব নয়। তা ছাড়া সরকারের মনোযোগ খাদ্য উৎপাদনে, তুলায় নয়। সরকার যতটুকু সহযোগিতা দেওয়া দরকার, ততটুকু দেয় না।