সচিবালয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পর কয়েকজন আনসার সদস্যকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে : আইএসপিআর

রাজধানীর সচিবালয় এলাকায় গতকাল রোববার আনসার সদস্যদের সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে সেনাবাহিনী। আজ সোমবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আনসার সদস্যদের সচিবালয় ঘেরাও পরিস্থিতি জানানো হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর সেনাসদস্যরা সচিবালয়ে অনুপ্রবেশকারী এবং পরবর্তী সময়ে জীবন রক্ষায় নিরাপদ আশ্রয় চাওয়া কয়েকজন আনসার সদস্যকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন থাকা সেনাসদস্যরা সচিবালয় এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এবং সচিবালয়ের সব গেটে নিরাপত্তা জোরদার করেন। এদিন বিভিন্ন সময়ে আনুমানিক ১০ হাজার আনসার সদস্য সচিবালয় ঘেরাও করেন। তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকারের সাতজন উপদেষ্টাসহ সচিবালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জিম্মি করে রাখেন।

আইএসপিআর বলছে, বিকেলে আনসার সদস্যদের শান্ত করার জন্য আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক সচিবালয়ে আসেন এবং আনসার সদস্যদের সব দাবি মেনে নেন। এরপরও আনসার সদস্যরা সচিবালয় এলাকা না ছেড়ে আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালককে অবরুদ্ধ করে রাখেন। কিছু আনসার সদস্য সচিবালয়ের ৩ নম্বর গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। কয়েকজন আনসার সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছাত্রদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। সচিবালয়ের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সেনাবাহিনীর টহলের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এ সময় ছয় সেনাসদস্য আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর পদক্ষেপ প্রসঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোতায়েনরত সেনাসদস্যরা বারবার আনসার সদস্যদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। তাঁরা শান্ত না হওয়ায় আকাশের দিকে ২৭টি ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। পরে সচিবালয় এলাকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়। আনসার সদস্যদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়।

অবরুদ্ধ সাত উপদেষ্টা, আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সচিবালয়ের সব কর্মকর্তা সেনাবাহিনীর সহায়তায় সচিবালয় এলাকা ছেড়ে যান।