ফারদিনের মৃত্যু: বুশরাকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন

ফারদিন নূর
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর আত্মহত্যা করেছেন উল্লেখ করে বন্ধু আয়াতুল্লাহ বুশরার নাম বাদ দিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

আজ সোমবার আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে বলে ডিবির মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার রাজীব আল মাসুদ জানিয়েছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন বলে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় আয়াতুল্লাহ বুশরাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বুয়েট ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা বলে ৪ নভেম্বর রাজধানীর ডেমরার কোনাপাড়ার বাসা থেকে বের হন ফারদিন। ওই দিনই তিনি নিখোঁজ হন। পরদিন ৫ নভেম্বর রামপুরা থানায় জিডি করেন তাঁর বাবা কাজী নূর উদ্দিন। নিখোঁজের তিন দিন পর ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।

এ ঘটনায় ফারদিনের বাবা মামলা করেন। মামলায় ছেলের বন্ধু আয়াতুল্লাহ বুশরাকে আসামি করেন তিনি। ওই মামলায় গ্রেপ্তার করে বুশরাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তারের প্রায় তিন মাস পর গত ৮ জানুয়ারি আয়াতুল্লাহ বুশরা জামিনে মুক্তি পান।

ফারদিনের লাশ উদ্ধারের পর ঘটনার ছায়া তদন্তে করা র‍্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে চনপাড়ার অপরাধী চক্র এ হত্যার সঙ্গে জড়িত। তবে গত ১৪ ডিসেম্বর তদন্তকারী সংস্থা ডিবি জানায়, ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন। আর্থিক, পারিবারিক ও পড়াশোনা নিয়ে হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। একই দিন সংবাদ সম্মেলন করে র‍্যাব জানায়, ফারদিন ‘স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ’ করেছেন।

তবে ফারদিনের বাবা কাজী নুরউদ্দিনের বিশ্বাস, তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দেব।’

তাঁর বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সর্বাধুনিক তথ্য–প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন।’