সরকার হিজড়াদের ‘লিঙ্গ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হিজড়ারা ‘হিজড়া’ লিঙ্গ হিসেবে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। তাঁদের আগের মতো ‘নারী’ অথবা ‘পুরুষ’ হিসেবে ভোট দিতে হবে।
ভোটার তালিকা ও এর সিডি তৈরি হয়ে যাওয়ায় তালিকায় ‘হিজড়া’ লিঙ্গ হিসেবে আলাদা করা সম্ভব হয়নি। নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ সভার কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১৫ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের ৩৬তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, সরকার হিজড়া জনগোষ্ঠীকে ‘হিজড়া’ লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। যে কারণে ভোটার তালিকায় নারী ও পুরুষের মতো হিজড়াদেরও পৃথক লিঙ্গ হিসেবে উল্লেখ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে এবং এ বিষয়ে আইনি বাধ্যবাধকতাও দেখা দিয়েছে।
তবে সভায় নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হিজড়াদের জন্য আলাদা ভোটার তালিকা তৈরি করা সম্ভব নয়।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ভোটার তালিকা বিধিমালা সংশোধন করে হিজড়াদের লিঙ্গ হিসেবে উল্লেখ করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ব্যক্তিগতভাবে কোনো হিজড়া ইসিতে যোগাযোগ করলে তাঁর তথ্য সংশোধন করে ‘নারী’ অথবা ‘পুরুষ’–এর স্থলে ‘হিজড়া’ করে দেওয়া হবে।
বর্তমানে হিজড়ারা ‘নারী’ অথবা ‘পুরুষ’ হিসেবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছেন।
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা তৈরি হয়ে গেছে। তৈরি হয়ে গেছে সিডিও। যে কারণে এবারের নির্বাচনে ভোটার তালিকায় হিজড়াদের লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া সম্ভব নয়।
ইসির প্রস্তুতি অনুযায়ী আগামী ৪ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। ভোট গ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ ১৮ থেকে ২০ ডিসেম্বর।