পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেওয়ার পর ফিরে আসা যুক্তরাজ্যের নাগরিক শামীমা বেগম কখনোই বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন না। কাজেই তাঁকে বাংলাদেশে আসতে দেওয়া হবে না।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ মঙ্গলবার শামীমা বেগমের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের দুই আদালতের মন্তব্যের পর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিমত জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের নাগরিক শামীমা বেগমের বিষয়ে সংবাদ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, শামীমা ১৫ বছর বয়সে সিরিয়ায় গিয়ে আইএসে এ যোগ দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাজ্যের সরকার তাঁর নাগরিকত্ব বাতিল করে। যুক্তরাজ্যের সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি সে দেশের হাইকোর্ট এবং স্পেশাল ইমিগ্রেশন আপিলস কমিশনে আপিল করেন। ওই দুই আদালত শামীমা বেগমের আবেদন খারিজ করে দেন এবং তাঁকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বলে উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করে, এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সুস্পষ্ট অবস্থান হলো—যুক্তরাজ্যের নাগরিক শামীমা বেগম কখনোই বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন না। এ–সংক্রান্ত তাঁর কোনো অধিকারও নেই এবং তাঁকে বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ারও কোনো অবকাশ নেই।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন ছেড়ে স্কুলের দুই বন্ধুর সঙ্গে সিরিয়ার পথে যাত্রা করেন শামীমা বেগম। কয়েক দিনের মধ্যেই তুরস্কের সীমান্ত পার করে সিরিয়ার রাকার আইএস সদর দপ্তরে পৌঁছান তিনি। সেখানে তিনি ধর্মান্তরিত হয়ে আইএসে যোগ দেওয়া ডাচ্ নাগরিককে বিয়ে করেন। চার বছর পরে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবির থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন:
‘শামীমার বিষয়ে বাংলাদেশের কিছু করার নেই’
শামীমাকে নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্যে ধাক্কা খেল যুক্তরাজ্য